বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করেছে : এইচটি ইমাম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০১৯, ২১:২৪
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থান, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে যেকোন মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণহানি এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়গুলো সামনে রেখে সরকার যেকোনো মাত্রার দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করেছে।
আজ রবিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সফল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সূত্রপাত হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাত ধরে ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝরের পর। দুর্যোগে মানুষের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশের পাশাপাশি বিপদাপন্ন মানুষের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণসহ আগাম সংকেত জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিষ্ঠা করেন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম তাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি হাফিজ আহমেদ মজুমদার এম পি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কার্যক্রমকে লক্ষ্যভিত্তিক, সমন্বিত, শক্তিশালী ও কার্যকর করার মাধ্যমে একটি দুর্যোগ সহনশীল জাতি গঠনে সাফল্যের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে নন্দিত।
যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় বর্তমান সরকার সক্ষম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনগত, সাংগঠনিক এবং প্রিিতষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ হয়েও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
দুর্যোগে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে জানমালের ক্ষয় ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নিয়েই এই দিবসটি পালন করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জেলা-উপজেলায় এ দিবস উপলক্ষে র্যালি, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়। আলোচনাসভা শেষে দুর্যোগ সচেতনতা বিষয়ক এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর
এই বিভাগের আরো সংবাদ