আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশ নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে : প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৬

কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আজ রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের খননকাজ উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। 

এ ছাড়া তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজও উদ্বোধন করেছেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের ধাপে ধাপে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে একটা সম্মানজনক অবস্থানে এসেছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তারই আরেকটি নতুন ধাপে আমরা প্রবেশ করলাম। সেটি হলো কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কাজ করতে চাই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমি তা-ই করব। দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলব, যেন সারা বিশ্ব তাকিয়ে থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া, শহরে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয়, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা প্রতিটি জেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে চাই। যেসব এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া সড়ক উন্নয়নেও সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারেনি বিশ্বব্যাংক। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য যে দেশের মানুষই দেশের দুর্নাম করে।

সুধী সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, গৃহায়ন ও গণপুর্তমন্ত্রী স ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সচিব সাজ্জাদুল হাসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা ৩ হাজার ৯৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

দুটি টিউবসংবলিত মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার এবং টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার ওভারব্রিজ।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ