আজকের শিরোনাম :

ঢামেক মর্গে ৬৭ লাশ, স্বজনদের ভিড়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৩

পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬৭টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। লাশগুলো এখন ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। নিহত ও নিখোঁজদের স্বজনরা ভিড় করেছেন সেখানে।

ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, তারা ৬৭টি লাশ গ্রহণ করেছেন। ময়নাতদন্তের পর শনাক্তকরণের ভিত্তিতে লাশগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, পুলিশের কাছ থেকে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তে অর্ডার পেলে যেসব মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব, সেগুলোর পোস্ট মর্টেম করব।

তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাদের মধ্যে কজন পুরুষ, কজন নারী কিংবা কয়টি শিশু, তাও জানা যায়নি। কয়েকটি মরদেহ এতটাই পুড়েছে যে চেনার উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে যেসব মরদেহ শনাক্ত সম্ভব না, সেগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করবে, পরবর্তী সময় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মিলিয়ে হস্তান্তর করা হবে।

যে লাশদেহগুলোর আইডিন্টেফিকেশন (শনাক্ত করা) সম্ভব, সেগুলো ময়নাতদন্তের পর আজকের মধ্যে হস্তান্তর করা সম্ভব বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।

এদিকে মর্গের বাইরে নিহত ও নিখোঁজদের ৫ শতাধিক স্বজন অপেক্ষা করে আছে। অনেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিতে চাইছেন। তাদের কারো ভাই, কারো স্বামী, বোন, আত্মীয় প্রিয়জনের এ আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় আহাজারি করছেন হাসপাতাল চত্বরে।

এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়। এ ঘটনায় সকাল পর্যন্ত ৭০ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আগুন নিয়ন্ত্রণে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৪০টি ইউনিটের দুইশতাধিক ফায়ার ফাইটার্স কাজ করে। এ ছাড়া দিবাগত রাত সোয়া ৪টার দিকে আগুন নেভাতে বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিঁটানো হয়।

অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, রাজমহল হোটেলের সামনে একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়ানো ছিল। হঠাৎ ভ্যানটিতে আগুন লেগে বিস্ফোরিত হয়। পাশে সিএনজি অটোরিকশা ছিল। সেটাও আগুনে পুড়ে যায়। পিকআপ বিস্ফোরণের পর রাজমহল হোটেলে আগুন ছড়ায়। হোটেলের সামনে সিলিন্ডার গ্যাস ছিল। সেগুলো বিষ্ফোরিত হয়। পুরো ভবনে আগুন ছড়ানোর পর পাশের ভবন ওয়াহিদ মঞ্জিলে আগুন লাগে। এ ভবনের নিচে মার্কেট ও ওপরে গোডাউন ছিল। বডি-স্প্রের দোকান ও প্লাস্টিক দানার দোকান রয়েছে। এক পর্যায়ে ওয়াহিদ মঞ্জির সংলগ্ন কয়েকটি আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ