আজকের শিরোনাম :

১৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন, শহীদ মিনারে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

একুশে ফেব্রুয়ারি: সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ডিএমপি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৮ | আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:১৫

গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নির্বিঘ্নে পালনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সবধরনের প্রস্তুতি। একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে কোন নিরাপত্তার হুমকি নেই, সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে ডিএমপি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে ঘিরে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে ডিএমপি কর্তৃক গৃহিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের একথা জানান ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া।

গৃহিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে কমিশনার বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সুদৃঢ়, নিশ্ছিদ্র ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহীদ মিনার ও তার আশপাশে স্থাপন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে এই ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে। সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। শহীদ মিনার এলাকায় প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে একাধিক আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশী করে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, বিদেশী রাষ্ট্রদূতসহ অন্যান্য ভিভিআইপিদের পুস্পস্তবক অর্পন শেষে জনসাধরণের জন্য প্রবেশদ্বার খুলে দেয়া হবে। সাধারণ দর্শনার্থীরা পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে আর্চওয়ের মধ্যদিয়ে শহীদ মিনারে আসবেন। সকলের সুবিধার্থে গমনাগমনের পথ নির্দেশিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে বড় ব্যানারে টাঙানো থাকবে। শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। জুতা পায়ে কেউ শহীদ মিনারের বেদীতে প্রবেশ করবেন না।

কমিশনার বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন এলাকায় বসানো হবে চেকপোস্ট। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ব্যতীত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। সকল ভিভিআইপি শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে বের হয়ে গেলে উল্টা পথে শহীদ মিনারে না আসার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি। আসার পথে পর্যাপ্ত ব্যরিকেড থাকবে। ব্যরিকেডের ভেতরে কোন প্রকার হকার বা ভ্রাম্যমান দোকান বসতে দেয়া হবে না।

ফোর্স মোতায়েন সম্পর্কে কমিশনার বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তায় ঢাকা শহর জুড়ে মোতায়েন থাকবে ১৬ হাজার পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার কেন্দ্রিক থাকবে ৬ হাজার পুলিশ সদস্য। প্রস্তুত থাকবে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোসাল ইউনিট এর সদস্যরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে কমিশনার বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ডা্ইভারশন থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ব্যতীত ২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ গেটে বসানো হবে নিরাপত্তা তল্লাশী চৌকি। বহিরাগত কেউ ২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার এলাকায় কোন ব্যানার, ফেস্টুন বা প্রচারণা চালানো যাবে না।

সম্মানিত নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে কমিশনার বলেন, শহীদ মিনার এলাকা কোন ব্যাগ, ছুরি, কাচি, দাহ্য পদার্থ, বড় ধরণের ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, ব্যাক-প্যাক ও অবাঞ্চিত বস্তু নিয়ে আসবেন না। তল্লাশী চৌকিতে এগুলো এ্যালাও করা হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে তল্লাশী করার জন্য দীর্ঘ লাইন হবে। এ সময় সকলকে ধৈর্য ধারণ করে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাই।
-ডিএমপি

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ