মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ৬ দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:২৬
সকল ধরণের সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ৬ দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও চাকরি প্রার্থীরা। এতে আশেপাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৫ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এই অবরোধ করেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪ টায় তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম (চাকরী প্রত্যাশী ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ)’ ব্যানারে মানববন্ধন করেন।
আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বক্তব্য সুনির্দিষ্ট। শেখ হাসিনার কাছ থেকে কোন মেসেজ না আসা পর্যন্ত আমরা এখান থেকে উঠবো না। কারণ বাংলাদেশে সবাই বিক্রি হয়, শেখ হাসিনা বিক্রি হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা একসময় বলেছিলেন, যারা কোটা চায় তারা একত্রিত হোক। শেখ হাসিনাকে ওইসময় ক্ষমতায় বসানোর জন্য আমরা কাজ করেছি। মাঝে মাঝে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে একত্রিত হয়েছি, আজকে চূড়ান্তভাবে আমরা এখানে বসেছি। শেখ হাসিনা যেটা বলবে আমরা সেটা মাথা পেতে নেবো, অন্যকোন নেতার না।”
আন্দোলনাকারীদের আরেক সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সনেট মাহমুদ জানান, শুক্রবার সোনালী ব্যাংকের অফিসার পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পরীক্ষা ছিল। প্রায় ১৩ হাজার চাকরি প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেন। তারই একটা বড় অংশ এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের ছয় দফা দাবি হচ্ছে:
১. জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমানকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
২. সরকারী সকল চাকুরীতে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল,সংরক্ষণ,বিশেষ কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলে বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।
৩. রাজাকারসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও তাদের বংশধরদের সরকারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা এবং চাকুরীজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরীচ্যূত করতে হবে।
৪.বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে চেতনা বিরোধী সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধ,কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্ব-ঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাসভবনে হামলাসহ সকল প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনুনাগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. সরকারী চাকুরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়স সীমা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে।
এবিএন/মমিন/জসিম