হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশের প্রতি রাষ্ট্রপতির নির্দেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:১৪

সেবা প্রার্থীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ।

আজ বুধবার পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণকে হয়রানি মুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে সেবা প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও পরামর্শ দানের প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, পুলিশ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ ও জনগণের সেবা প্রদান করবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সুশাসনের অন্যতম নিয়ামক হলো আইনের যথাযথ প্রয়োগ। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান ও নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আপনাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। আপনাদের কাছে সেবা নিতে আসা কোনো মানুষই যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সেবা ও পরামর্শ পায় সে দিকে সবিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করে  আপনারা পুলিশকে একটি সেবাধর্মী ও জনবান্ধব সার্ভিসে পরিণত করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ একটি অত্যাবশ্যকীয় পূর্বশর্ত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এ জন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

সন্ত্রাস, জঙ্গি দমন ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বাহিনীর সব সদস্যকে আরও প্রশিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে অপরাধ ও অপরাধীরা আর নির্দিষ্ট কোনো দেশের ভৌগোলিক সীমানায় সীমাবদ্ধ নেই। প্রযুক্তির বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ নেটওয়ার্কের সাথে সহজেই সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবেলা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তা সত্ত্বেও সংঘবদ্ধ অপরাধসহ সন্ত্রাস, জঙ্গি দমন ও মাদকের বিস্তার রোধে পুলিশ সদস্যগণ যে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও সাহসিকতা প্রদর্শন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে জনজীবনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে এসেছে। আপনাদের এ সাফল্য শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভবিষ্যতে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনারা আরও প্রশিক্ষিত ও দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী প্রমুখ।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ