অনিয়মের সঙ্গে কোনো আপস নয় : সিইসি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫৯
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, অনিয়ম হলে প্রয়োজনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু অনিয়মের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।
আজ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে ৫ম উপজেলা নির্বাচন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যদি কোনো রিটার্নিং অফিসার মনে করেন যে, তার সম্পূর্ণ উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। তবে সেটি বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটি বন্ধ করে দিতে পারবেন। আমরা সে অবস্থানে থাকতে চাই। যদি কখনো কোনো জায়গায় কোনো প্রার্থীর, দলের বা কারো অতিরিক্ত নিষ্প্রয়োজনীয় আইন ব্যত্যয়কারী কোনো ঘটনা সৃষ্টি করে বা নির্বাচন রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বহির্ভূত হয়ে যাবে এমন কিছু হলে পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হবে।
সিইসি বলেন, মানুষ ভোট দেবে। ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হবে। প্রার্থী কোন দলের, কোন ধর্মের, কোন বর্ণের সেটি দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। অনেকে বলেন নির্বাচনের প্রার্থী মেট্রিকের নিচে, তারা দেখতে ভালো না। এটাতো কোনো কথা না। ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই হবেন তাদের নির্বাচিত প্রার্থী।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, এজেন্টদের নিয়ে সব সময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দেন, সে জন্য তাদের উৎসাহিত করবেন। এজেন্টরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এজেন্ট থাকা এবং যাওয়ার দায়িত্ব তো আপনারা নিতে পারেন না। সেটি প্রার্থীর বিষয়। প্রার্থীদের উৎসাহিত করবেন, যাতে তারা এজেন্ট দেন। এজেন্টরা যাতে সেখানে নিরাপদে নির্ভয়ে থাকতে পারে, এটি দেখবেন।
তিনি বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন যে, তাদের এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। আপনারা (প্রার্থী) যদি না পাঠান, তা হলে কেন্দ্রে এজেন্ট কীভাবে যাবে? পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে অভিযোগ আসে যে তাদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না। এর অনেকগুলোই সঠিক না।
কে এম নূরুল হুদা আরও বলেন, বলা হয়ে থাকে যে ভোটারদের ভোট দিতে আসতে দেওয়া হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন। কোনো কোনো জায়গায় ভয়ভীতি দেখানো হয় বা হতে পারে। সেগুলোকে ভালোভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে।
নির্দেশনা দিয়ে সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে বা পরে এবং নির্বাচনের দিন যাতে কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, এ বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ