আজকের শিরোনাম :

প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে : প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৫


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এক অন্যরকম ও উন্নত বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরতে সরকার কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে।

আজ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ১২টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া ৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ৯টি গ্রিড উপকেন্দ্র এবং সন্দ্বীপের বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত বাংলাদেশে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। এখন আর বিদ্যুতের জন্য গ্রাহকদের ঘোরতে হয় না। বরং সংযোগ পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাহকদের কাছে।

তিনি বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর। এর জন্য সুনির্ধারিত পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। ২০২০ সালের মধ্যে আরও বেশি উন্নয়ন ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এক উন্নত বাংলাদেশকে দৃশ্যমান করতে কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলাম। বাংলাদেশ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম, সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছিলাম, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়, ফলে মানুষের মধ্যে একটি আশার আলো জেগেছিল। কিন্তু সেই আলো নিভে যায় বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এটাই ছিল তাদের একমাত্র কাজ।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে। ২০০৮ থেকে ২০১৮ একটানা দুবার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নিত হয়েছি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৮-এর নির্বাচনে জনগণ আবারও আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমরা জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাদের নির্বাচিত করেছেন সেটি সামনে রেখেই আমরা এগিয়ে যাব।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের ফলে মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করছি।

তিনি বলেন, ‘সন্দ্বীপ আমি গিয়েছিলাম, সেখানে সোলার প্যানেল দিয়েছিলাম। সে সময় সন্দ্বীপবাসীর একটি দাবি ছিল, সেখানে যেন আমরা গ্রিড লাইন দিই। খুব স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের দ্বীপাঞ্চলে বিদ্যুৎ দেওয়া খুব কষ্টকর। কিন্তু এখন নতুন টেকনোলজি আছে। আমরা সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে লাইন নিয়ে গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দিতে পারছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমি সন্দ্বীপে গিয়েছি। সেখানে থেকে ত্রাণ বিতরণ করেছি। তখন দেখেছি কী দুঃসহ জীবনযাপন করতে হয় মানুষকে। আজকে আমরা বলতে পারি, গ্রিডলাইনে বিদ্যুৎ যাওয়ার পরে সেখানে বিনিয়োগ হবে, শিল্পায়ন হবে, আমাদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে উঠবে। সেখানে আমরা বহুমুখী কাজ করতে পারব, এমনকি ব্লু ইকোনমির কাজও করতে পারব। দ্বীপটি অত্যন্ত চমৎকার। 

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ