আজকের শিরোনাম :

রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৬

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে কক্সবাজারে এসেছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত ও হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।

আজ সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি বেসরকারি বিমানে করে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে তিনি কক্সবাজারের ইনানীতে অবস্থানরত একটি তারকামানের হোটেলে থাকবেন। 

দুপুর ২টার দিকে টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। সেখানে নির্যাতিত ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলবে এবং ভয়াবহ নির্যাতনের কাহিনি শুনবেন।

জোলি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছেন। ৫ দিনের বাংলাদেশ সফরে তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা নারীদের নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা শুনে ঢাকায় আসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন এ হলিউড অভিনেত্রী। সেসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, জোলি যৌন নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের দেখতে বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা,ধর্ষণ,নির্যাতন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরগুলোতে এখন দিন কাটছে তাদের। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে এর আগে অন্তত চারবার অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বাংলাদেশ সফর বাতিল করা হয়।

গত বছরের ২১ মে জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন বলিউড অভিনেত্রী, সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালী ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরের শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান।

জোলি আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এক্সেটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। সেখানে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ‘ইউএনসিআর’ ব্র্যাক,রিলিফ ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ