আজকের শিরোনাম :

দ্বার উন্মোচন হলো প্রাণের বইমেলার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫৯ | আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৩

অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ‘বিজয়: ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ নবপর্যায়’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ থেকে দ্বার খুলল অমর একুশে গ্রন্থমেলার।  শুক্রবার (ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই পর্যন্ত ১৬বার অমর একুশে বইমেলা উদ্ধোধন করলেন সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

লেখক-প্রকাশক-পাঠক আর সাহিত্যপ্রেমীদের দীর্ঘ এক বছরের সকল অপেক্ষার পালা শেষ করে আজ থেকে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী শুরু হলো বাঙালির প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’।

এর আগে মেলা উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল তিনটায় বাংলা একাডেমিতে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর বিকেল পাঁচটার পর মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চারজন লেখকের হাতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার-২০১৮ তুলে দেন তিনি। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- কবিতায় কাজী রোজি, কথা সাহিত্যে মুহিত কামাল, প্রবন্ধ গবেষণায় সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণায় আফসান চৌধুরী। এসময় তিনি ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইনটেলিজেন্ট ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন’ বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করেন।

এদিকে, প্রাণের মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বই ঘরগুলো এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী প্রতিদিন বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায়।

এবারের বইমেলাকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিসর বাড়িয়ে স্বাধীনতা স্তম্ভ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও খোলামেলা পরিবেশ, প্রযুক্তিগত নানা সুবিধা, বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

বাংলা একাডেমির দেওয়া গ্রন্থমেলার সময়সূচি অনুযায়ী শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা, সপ্তাহের অন্যান্য দিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।  

একুশে গ্রন্থমেলায় এবার ৪৯৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। গতবার যে সংখ্যা ছিল ৪৬৫টি। আর ছুটির দিন ছাড়া গ্রন্থমেলা চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।


একুশের চেতনার এই মেলায় এবার মেলায় ভাষা শহীদদের পাঁচটি চত্বর থাকছে এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকবে চারটি আর বাংলা একাডেমিতে একটি৷ এছাড়া নানা ডিসপ্লে বোর্ড ও মঞ্চে স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস প্রদর্শিত হবে। বইমেলা প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবার পুরো গ্রন্থমেলাকে আনা হচ্ছে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমৈর (জিপিএস) আওতায়। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের মেলার স্টলগুলো রাখা হচ্ছে নির্দিষ্ট দূরত্বে। মেলার দর্শনার্থীরা যেনো বই কেনার পাশাপশি এখানে একটু স্বস্তিতে বসতে পারে, একটু ঘোরাফেরা করতে পারে, সে ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।

বইমেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে। প্রতি বছরের মতো এবারও ফায়ার ব্রিগেড, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা সিভিল সার্জন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ব়্যাব, আনসার ও বিভিন্ন সংস্থা মেলার নিরাপত্তার কাজে যুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি। শাহবাগ থানা মেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে৷ টিএসসি থেকে দোয়েল চত্ত্বর পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ