শিগগিরই এক লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৫২
শিগগিরই কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাষানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তবে শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের রোহিঙ্গা বিষয়ক দূত প্রফেসর ইয়াংহি লি বাংলাদেশকে তড়িঘড়ি না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মিদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এছাড়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের প্রস্তুতিতে হতাশা জানান সফরকারী এ জাতিসংঘ দূত।
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ১৭ মাস ধরে। তাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে দুদেশের মধ্যে চুক্তি করা হলেও সেটা এখনো রয়ে গেছে কাগজে কলমে। সবশেষ গত বছরের নভেম্বরে তারিখ ঘোষণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় প্রথম ধাপের প্রত্যাবাসন। এ অবস্থায় কক্সবাজারের বসতি এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার। তাদের মধ্য থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে আগামি মাসে ভাষানচরে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে নিজের ৬ দিনের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কথা বলেন জাতিসংঘের রোহিঙ্গা বিষয়ক দূত। প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার এখনো কোনো পরিবেশ তৈরি করেনি, নিকট ভবিষতে সে সম্ভাবনাও নেই- এমন হতাশা তার কণ্ঠে। বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করলেও গত ১৭ মাসে রাখাইনের আক্রান্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রবেশ করতে না পারার ব্যর্থতা মেনেই বলছেন, শুধু চাপে কাজ হবে না। তবে ভাষানচরে পুনর্বাসনের ব্যাপারে আরেকটু সময় নেয়ার আহ্বান তার।
তিনি বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের ফেরার মতো কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে বাংলাদেশ সরকার যে অবকাঠামো তৈরি করেছে তা সন্তোষজনক।’ তবে সবার আগে সেখানকার নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন বর্ষার মৌসুমের কথা মাথায় রেখে ভাষানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরে তড়িঘড়ি না করতে সরকারকে আহবান জানাই।
অন্য কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন সম্ভব নয়, আবার রাখাইনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সেফ জোন করার প্রস্তাবও বাস্তব সম্মত নয়। মিয়ানমার সম্মত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশকেই এ দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, এমন সুরই জাতিসংঘ দূতের কণ্ঠে।
এবিএন/মমিন/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ