‘প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ি কাজ করতে হবে’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪৯

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ি সবাইকে কাজ করতে হবে। 

তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্থলবন্দরগুলো দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এগুলোকে আরো বিকশিত ও বিস্তৃত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়ন, জোরদার এবং সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজতর করার লক্ষ্যে স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন আমাদেরকে উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বর্তমান সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে, কোনভাবেই এসময়কে অবহেলা করা যাবেনা। আগামী প্রজন্মের জন্য কাজগুলো এগিয়ে নিতে হবে।’

এদিকে মতবিনিময় সভায় জানানো হয় ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২টি স্থলবন্দরের গেজেট করেন। এর মধ্যে ২টি সচল ছিল। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে ১১টি স্থলবন্দর গেজেটভুক্ত করা হয়। বর্তমানে ২৩টি স্থলবন্দর রয়েছে।

এর মধ্যে ১২টি স্থলবন্দর যথা-বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারী, আখাউড়া, নাকুগাঁও, তামাবিল, সোনাহাট, সোনামসজিদ, হিলি, টেকনাফ, বিবিরবাজার, তামাবিল ও বাংলাবন্ধা চালু রয়েছে। বিলোনিয়া, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, রামগড়, চিলাহাটি, টেগামুখ, দৌলতগঞ্জ, শেওলা, ধানুয়াকামালপুর, বাল্লা, দর্শনা ও বিরল স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়ন প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

সভায় আরো জানানো হয়- স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রম আরো গতিশীল ও আধুনিকায়নরে লক্ষ্যে ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় আগারগাঁওস্থ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জমিতে স্থলবন্দরের প্রধান কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবদুস সামাদ এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ