অভিযোগ প্রমাণিত হলে এমপি বদিকেও ছাড় নয় : সেতুমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৮, ১৫:৪৬
সাভার (ঢাকা), ২৬ মে, এবিনিউজ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কক্সবাজারের এমপি বদির বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকেও ছাড় নয়। বদির বেয়াই যেমন ছাড় পায়নি ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি যে দলেরই হোক কেউ রেহাই পাবে না। আজ শনিবার ঈদকে সামনে রেখে সাভারের আশুলিয়ায় সড়কের উন্নয়ন কাজের পরিদর্শনে গিয়ে সাংবদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে র্যাব এবং পুলিশ। এ অভিযানে একটি রাজনৈতিকমহল খুশি হতে না পারলেও দেশের মানুষ অনেক খুশি। কারণ এ দেশের তরুণ সমাজ মাদকের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা স্রোতের মতো দেশে ঢুকছে। আর পাড়া-মহল্লায় সুনামির মতো মাদক ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় জনগণ একটি অভিযান চেয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে এবং তদন্ত করে র্যাব ও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বন্দুকযুদ্ধ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অস্ত্র থাকে। তাই পুলিশ ও র্যাব যখন তাদের নিয়ে মাদক উদ্ধারে যায় তখন মাদক ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশে করে গুলি করে। ঠিক তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় এটাই বন্দুকযুদ্ধ। মাদক ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে তাই তাদের কাছে অস্ত্র থাকে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর চলমান ভারত সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা সমালোচনার জবাব দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব কারা? যারা ভারতে গিয়ে লাল কার্পেটের সংবর্ধনা নিয়ে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকর বলেছিল, গঙ্গার পানি নিয়ে কথা বলতে তো ভুলেই গিয়েছিলাম? কিন্তু আমরা ভুলে যাইনি। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সম্প্রতি ভারতে গিয়েও এ ব্যাপারে কথা বলেছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আর প্রধানমন্ত্রী তো এবার দিল্লিও যাননি। গিয়েছেন শান্তিনিকেতনে ভিন্ন কর্মসূচিতে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচ্যসূচী না থাকলেও তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ তিস্তার প্রসঙ্গ যে আলোচনা হয়নি, তাই বা কি করে জানেন ফখরুল সাহেব?’
তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার ডিইপিজেড পর্যন্ত সাড়ে ৮শ কোটি টাকা ব্যায়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কে অবৈধভাবে মাহিন্দ্র চলাচলে কেউ যদি চাঁদা তোলে তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা আরিচা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এদিকে মন্ত্রী মহাসড়কে একটি ফিটনেসবিহীন গাড়ি দেখে তা ড্যাম্পিয়ে পাটিয়ে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান, আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন খান, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লুৎফর রহমান জয়সহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ