আজকের শিরোনাম :

রাজধানীতে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র নেই : ডিএমপি কমিশনার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৫২ | আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৫৪

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা মহানগরীতে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনেই আমরা কিছু কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করে থাকি। সে অনুযায়ী আমরা সেসব কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। সেই বিবেচনা থেকে সমগ্র ঢাকা মহানগরীতে সব বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকা মহানগরীতে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই।  

আজ শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিএমপি সদর দফতরে আয়োজিত তাৎক্ষণিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো রাজধানী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা রয়েছে। কেউ যদি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, পেশিশক্তি ব্যবহার করতে চায় এবং কোনো বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, তবে তাকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

ভোটার, প্রার্থী ও প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, আমরা সবাই নির্বাচন কমিশনের কোড অব কনডাক্ট মেনে চলব। কারো নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ভোটার, প্রার্থী, এজেন্ট ও সংশ্লিষ্টদের সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, কেউ যদি নৈরাজ্য করার চেষ্টা করে, ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি চেষ্টা, ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিঘ্নিতে সামান্য অপচেষ্টা করে, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, পেশীশক্তির ব্যবহারের চেষ্টা করে তাহলে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। এখন থেকে নির্বাচন শেষ না অবধি ঢাকা মহানগরী নিরাপত্তা চাদরে আবৃত থাকবে। সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই নির্বাচন শুধু সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা আগামী দিনের সমৃদ্ধির বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আমরা সকল বাহিনীর সাথে চমৎকার সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি। তবে একটি অবাধ, স্বচ্ছ নিরপেক্ষ ভীতিহীন ও উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নয়, এ দায়িত্ব প্রত্যেকটি নাগরিকের।

কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে ড. কামালসহ কয়েকজনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা প্রচার চলছে। এটা কি শুধু গুজব নাকি সত্যতা আছে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, একটি দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে দেশের গণতন্ত্র, স্বার্বভৌমত্ব, উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কার্যক্রমে নিরুৎসাহিত করা ও চাপে রাখার কৌশলও দেখা গেছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করে এসব বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

বিভিন্ন নেতার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার যে সংবাদ সোশ্যাল ও অনলাইন মিডিয়াতে এসেছে সেগুলোর ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সতর্ক ও গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, কোনো ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা সফল হতে দেয়া হবে না। যারা ফেইক আইডি খুলে ভীতি সৃষ্টি করতে চায়, নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থা কঠোর ও সুস্পষ্ট। ভীতির কোনো কারণ নাই।

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার কৃঞ্চপদ রায়, আব্দুল বাতেন ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ডিসি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ