আজকের শিরোনাম :

অভিযোগ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে বিচারকদের নির্দেশ সিইসির

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৫৭

নির্বাচনী মাঠে অনিয়মের অভিযোগ স্ষ্ঠুু ও সক্রিয়ভাবে তদন্ত করতে জেলা পর্যায়ের বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন  অডিটরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের বিফ্রিং অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

ইলেকট্রোরাল কমিটির উদ্দেশে সিইসি বলেন, যিনি আপনাদের কথা শুনবেন না, প্যানেল কোডের ১৯৩ ধারা মতে তাদের ৭ বছরের জেল হবে, যদি মিথ্যা তথ্য দেয় এবং আপনাদের আদেশ না মানে, প্যানেল কোডের ২২৮ ধারা অনুসারে তাদের বিচার হবে। তার মানে হলো ‘কোড অব সিভিল প্রসিডিউর ১৯০৮’-এর সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে আপনারা মাঠে অবস্থান করবেন। এটা আপনাদের প্রকৃত, যেটা আপনাদের চেম্বারে নয়, মাঠে। সমস্যার মুখোমুখি, প্রার্থীদের মুখোমুখি, আরচণবিধি যারা ভঙ্গ করবে তাদের মুখোমুখি, আপনাদের ওপরে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এটা অন্যরকম পরিবেশ বা অন্যরকম দায়িত্ব আপনাদের ওপরে অর্পিত হয়েছে। এটাকে আপনাদের ভালোভাবে দেখভাল করা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদেও ভিজিবল (দৃশ্যমান) হতে হবে। তার মানে আপনারা এখন পর্যন্ত কিন্তু ভিজিবল হননি। বাস্তবতা হলো সেটা। ভিজিবল যখন হবেন, আপনাদের কাজের মাধ্যমে যখন আস্থা রাখবে, আপনাদেরকে যখন চিনবে, তখন থেকে আপনাদের ওপরে দায়িত্ব আসবে। তখন আর আমাদের ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে শত শত অভিযোগ আসবে না। আমরা প্রত্যেকদিন শত শত অভিযোগ পাই। কিন্তু অভিযোগগুলো আমাদের কাছে আসার কথা না। কারণ, আপনারা সেখানে (মাঠ পর্যায়ে) রয়েছেন। আমরা কী করবো? অভিযোগগুলো আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেবো। প্রয়োজন ছিল অভিযোগগুলো সরাসরি আপনাদের কাছে যাবে। ’

সিইসি বলেন, ‘২৫ নভেম্বর যখন এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল, আমরা আশা করেছিলাম যে, প্রত্যেকটি কমিটি অন্তত ১২২টি অভিযোগ তদন্ত করবে। এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। ১০০টা তদন্ত করার প্রত্যাশা ছিল, ১০০টা বাদ দিলাম, ২২টি তদন্ত করার প্রত্যাশা ছিল। তাও হয়নি। কারণ, সেটাই, এপর্যন্ত আপনারা প্রস্তুতি নিয়ে গুছিয়ে উঠতে পারেননি। আজকে থেকে এখান থেকে, আপনাদের কী করণীয়, দায়িত্ব এবং কীভাবে এই কমিটি পরিচালিত হবে জেনে শুনে ফিরে গিয়ে তদন্ত করবেন। মানুষের অভিযোগগুলো শুনবেন, আমলে নেবেন এবং তাদেরকে রিলিফ দেবেন, যাতে তারা যাদের জায়গায় বসে, এলাকায় থেকে, ঢাকা পর্যন্ত না এসে আপনাদের কাছ থেকে, পাশে থেকে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেন।’

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, আইনের শাসন না থাকলে গণতন্ত্র অর্থহীন হয়ে পড়ে। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচন আইনানুগ না হলে সে নির্বাচন কালো নির্বাচন। আমরা কালো নয়, স্বচ্ছ সাদা নির্বাচন করতে চাই।

দেশের সবগুলো জেলার সহকারী ও যুগ্ম জেলা জজদের নিয়ে গঠিত ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে ব্রিফিংয় আরও বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জেলা জজরা অংশ নেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ