আজকের শিরোনাম :

আজ হেফাজতের শোকরানা মাহফিল, প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৫ | আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৯

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার শোকরানা মাহফিল করবে আল হাইয়াতুল উলা লিল জামিয়াতুল কওমিয়া। কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তরের সমমান দেওয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করেছে হেফাজতে ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রবিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর দুপুর সাড়ে ১২টায় এ অনুষ্ঠান শেষ হবে।

এ মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও আল হাইয়াতুল উলা লিল জামিয়াতুল কওমিয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এদিন সারাদেশ থেকে অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্বীকৃতি দেওয়ায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবেন।

আয়োজকরা আরও জানায়, হেফাজত প্রধানমন্ত্রীর আরও তিনটি দাবি জানাবে এই মাহফিল থেকে। এগুলো হলো কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা, আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও 'ইসলামবিরোধী' শক্তিকে প্রতিহত করা।

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশের সড়কে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এদিন শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

উল্লেখ্য, কওমি শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই দাওরায়ে হাদিসের সনদের স্বীকৃতি দাবি করছেন। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার আগে স্বীকৃতির প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু আইন না করায় তা কার্যকর হয়নি। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে কমিশন করে। পরের বছর ২০১৩ সালে হেফাজতের ১৩ দফা নিয়ে সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। পরে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর স্বীকৃতির বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। গত বছরের এপ্রিলে স্বীকৃতির প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে আইন পাস হয়। আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে গঠিত আল হাইয়াতুল উলা লিল জামিয়াতুল কওমিয়ার অধীনে সনদ দেওয়া হবে।

রবিবারের মাহফিল দেশের সব মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন সব কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাহফিলে যোগ দেবে। মাহফিল উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দীর মাঠে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উদ্যানের দক্ষিণ-পূর্বপাশে বিশালাকারের মঞ্চ করা হয়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ