আজকের শিরোনাম :

আগামী ৪ নভেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার কমিশনার আগামী ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ এবং তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে আগামী ৪ নভেম্বর।

এরই মধ্যে তফসিল ঘোষণার সময় জাতির উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মহাপরিচালকের কাছে ইসি দফতর থেকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। বিটিভি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাইছে না। যদিও নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের সচিবসহ একাধিক কর্মকর্তা বলে আসছেন নভেম্বরের শুরুতেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।

ইসি কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। তফসিল যখন ঘোষণা করা হবে, তার আগেই অনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিটিভিকে ৪ নভেম্বর সিইসির ভাষণ সম্প্রচারের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে তো কোনো কিছুই গোপন রাখা যায় না। আপনারাই ভালো বলতে পারেন।

জানা গেছে, ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন তফসিল ও ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে তাকে অবগত করবেন। তিনি সম্মতি দিলেই ৪ তারিখ তফসিল ঘোষণা করা হবে। ১ নভেম্বরের সভাটিকে নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দিচ্ছে। এই বৈঠকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত কমিশনার মাহবুব তালুকদারও অংশ নেবেন। ইসি সচিব আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগেও অরেকটি কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মুখলেসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৪ নভেম্বর ইসির কমিশন সভা রয়েছে। তবে ওই দিন কমিশন সভা শেষে তফসিল ঘোষণা করা হবে কিনা, তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কমিশন সভাতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা গেছে, নভেম্বরের ৪ তারিখে তফসিল ও ডিসেম্বরের ১৮ থেকে ২০ তারিখে ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারিত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সাক্ষাৎ করবে। সাক্ষাতের পর একটি কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই কমিশন সভা শেষে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

আগের জাতীয় নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সাধারণ তফসিল ঘোষণার পর ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর কমিশন সভা শেষে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল রকিব উদ্দিন কমিশন। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৫ জানুয়ারি। ওই বছর, তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ইসি সূত্র জানায়, আগামী ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আগামী ৪ নভেম্বর ইসির কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই দিনই সভা শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হলে ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে, অর্থাৎ ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর- এই তিন দিনের যেকোনো একদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী আগামী আগামী ৩০ অক্টোবরের পর ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ