আজকের শিরোনাম :

স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৩৪ | আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে এবং স্বাস্থ্যসেবাকে সাধারণ জনগণের দোড়গোঁড়ায় পৌছে দিতে তার সরকার নিরলস পরিশ্রম করছে।

আজ বুধবার (২৪ অক্টোবর) বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। ৫০০ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট নির্মাণের মধ্য দিয়ে বিশ্বে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলেও ইনস্টিটিউটের উন্নয়ন কাজ বন্ধ না করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামায়াতের বোমা বাজিতে আমাদের বহু লোক আহত হতো। তাদের দেখতে গিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেই এটি করার। নিমতলীতে যখন আগুন লাগে তখন বিষয়টি প্রয়োজন হয়ে পড়লো। আমরা দেখলাম প্রায়ই মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয় কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা সেবা তারা পায় না।

তিনি বলেন, আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসার জন্য কাউকে যেন বিদেশ আর যেতে না হয় সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে সঠিক স্বাস্থ্যসেবাটা নিশ্চিত করা যাতে সাধারণ মানুষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং অন্যান্য হাসপাতাল থেকে কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবাটা পেতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে জনসংখ্যা বেশি কিন্তু ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা কম। সে কারণে ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আমরা তাদের বাইরে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি জেলার হাসপতালগুলোকে উন্নত করার চেষ্টা করছি। সেখানেও বার্ন ইউনিট তৈরি করার চেষ্টা করছি। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন তৈরি করে দিচ্ছি। এর জন্য যা যা যন্ত্রপাতি ক্রয় করা দরকার তা আমরা করে দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অতি দ্রুত এই ইনস্টিটিউটের কাজ সম্পন্ন করায় যারা সাহায্য করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। সরকার পরিবর্তন হলেও এই ইনস্টিটিউটের উন্নয়ন কাজ বন্ধ না রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৮ তলা বিশিষ্ট ৫০০ শয্যার এই ইনস্টিটিউট দুই একর জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে ব্যায় হয়েছে ৯১২ কোটি টাকা। যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ অত্যাধুনিক বার্ন হাসপাতাল।

চিকিৎসকরা মনে করছেন, ৫০০ শয্যার এই ইন্সটিটিউট, পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় সৃষ্টি করবে নতুন সম্ভাবনা। এটি উদ্বোধনের ফলে হাজার হাজার পোড়া রোগীর সুচিকিৎসার নবদিগন্ত উ্ন্মোচিত হলো। শুধু রোগীরা নন, তাদের পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এ প্রতিষ্ঠান। 

এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ