আজকের শিরোনাম :

হেমন্তের হাওয়ায় বিষাদের ছায়া নিয়ে এলো বিজয়া দশমী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ১০:২৫

হেমন্তের হালকা শীতল বাতাসে ভর করে পূজামণ্ডপে এলো বিষাদের ছায়া। এবার দেবীকে বিদায়ের পালা। আজ শুভ বিজয়া দশমী।

বাঙালি হিন্দুদের বৃহত্তম শারদীয় ধর্মীয় উৎসবের সমাপনী দিবস। শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার আবাহন হয়েছিল।আজ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটবে। দেবী দুর্গা অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক।

ঢাক-কাঁসরের বাদ্য-বাজনা, রাত্রি উজ্জ্বল করা আরতি ও পূজারি-ভক্তদের পূজা-অর্চনায় কেবলই মা দুর্গার বিদায়ের আয়োজন। দেবী দুর্গার চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে জোর পদক্ষেপ নেওয়ার শপথ নেন ভক্তরা।

বাঙালি হিন্দুসমাজের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের এই শুভক্ষণে পূর্বপশ্চিম সবাইকে জানায় শারদীয় শুভেচ্ছা। শারদীয় উৎসব সার্বজনীন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।

পুরাণ অনুসারে, দুর্গা যেমন অসুরবিনাশী দেবী, তেমনি তিনি দুর্গতিনাশিনী, যিনি জীবের দুর্গতি নাশ করেন। তিনি এবার এসেছেন নৌকায় করে। দেবী দুর্গা অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন। তাঁর এই জয়ের মধ্য দিয়ে অন্যায় ও অশুভর বিরুদ্ধে ন্যায় ও শুভশক্তির জয় হয়েছিল।

কেবল বাংলাদেশ বা ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবকে তাঁদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব মনে করেন। তবে দুর্গাপূজা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও সব ধর্মের মানুষ এর আনন্দ ভাগ করে নেয়। শত শত বছর ধরে বাঙালি হিন্দু-মুসলমান যেমন পাশাপাশি বসবাস করে আসছে, তেমনি তারা একে অপরের ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিয়ে সেই সামাজিক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করেছে। এটাই বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য। সব ধর্মের মানুষের এতে শরিক হওয়ায় দুর্গোৎসব সর্বজনীন রূপ নিয়েছে।

একসময় কেবল বনেদি জমিদারবাড়িতেই পূজার আয়োজন করা হলেও কালক্রমে দুর্গাপূজা সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। বাঙালি সংস্কৃতি যে অন্তর্নিহিতভাবে সর্বপ্রাণবাদী, নারী তথা মাতৃচরিত্রের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে, দুর্গাপূজার মধ্য দিয়ে তা ফুটে ওঠে। এই গুণাবলি যতটা ধর্মীয় বিশ্বাস, ততটাই সংস্কৃতির প্রাণরসে ঋদ্ধ। তাই ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বাঙালি সংস্কৃতিরও অন্যতম উৎসবও এটি।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ