বসুন্ধরায় শুল্ক ফাঁকি দেয়া মোবাইল জব্দ: বিপাকে গোয়েন্দারা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ মে ২০১৮, ১৭:২২
ঢাকা, ১৯ মে, এবিনিউজ : রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে মোবাইল ফোনের দোকানে নকল ও শুল্ক ফাঁকি দেয়া মোবাইল সেট জব্দ করতে অভিযানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
আজ শনিবার দুপুরে ওই শপিং মল থেকে শুল্ক ফাঁকি দেয়া ২০০ আইফোন জব্দের পর ফেরার পথে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন গোয়েন্দারা। এখন গোয়েন্দাদের সাথে মোবাইল ব্যবসায়ীদের বৈঠক চলছে।
অন্যদিকে শপিং মলের বাইরে ব্যবসায়ীরা পান্থপথের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষুব্ধ দোকানিদের অভিযোগ- প্রতি রমজান ও ঈদে শুল্ক বিভাগের লোকেরা তাদের মোবাইল জব্দ করে নিয়ে যায়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (এডিজি) জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানে যাওয়া র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যসহ বিশেষ টিমকে মার্কেটের বাইরে অবরোধ করেন দোকানের কর্মচারীরা।
শিহাব উদ্দিন নামে এক মোবাইল ব্যবাসায়ী জানান, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মোবাইল এনে দোকানে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ এনে শুল্ক গোয়েন্দারা প্রায় ২০ লাখ টাকার মোবাইল জব্দ করেছে। অথচ মোবাইল জব্দের সময় কোনো সিজারলিস্ট দেয়া হয়নি।
মোবাইলগুলো তারা কিভাবে দেশে আনেন জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, কেউ বিদেশ থেকে এলে তারা লাগেজে ২-৩টা মোবাইল এনে আমাদের কাছে বিক্রি করে। আমরা সেগুলোই বিক্রি করে থাকি।
মার্কেটের অ্যাপল জোন নামের একটি মোবাইলের দোকানের কর্মচারী ফাহাদ আহমেদ বলেন, শুল্ক গোয়েন্দারা আমাদেরকে কোনো সতর্কতা কিংবা কোনো কথাবার্তা ছাড়াই দোকানে এসে মোবাইল নিয়ে যায়। এর আগেও তারা এরকম করেছেন। তখন আমরা মোবাইল ক্রয়ের কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে তাদের কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা মোবাইলগুলো ফেরত দেয়নি।
এর আগে দোকান কর্মচারীদের তোপের মুখে এডিজি জিয়া উদ্দিন গাড়ি ঘুরিয়ে কারওয়ানবাজার মোড়ের দিক যেতে চাইলে সেখানে রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন দোকান কর্মচারীরা। এর ফলে শুল্ক গোয়েন্দা টিমের সদস্যরা আটকা পড়েন। সেখানে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা তাদের নিরাপত্তায় তৎপর হলে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দোকান কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
বেলা ৩টায় এডিজির গাড়িসহ বহরে থাকা গাড়িগুলো রাস্তার পাশে দাড় করিয়ে রাখা হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য র্যাব সদস্যরা ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়। রাস্তায় যান চলাচল শুরু হলে দোকান কর্মচারীরা আবার রাস্তা আটকে দেয়। দোকান কর্মচারীরা এডিজির গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে বসুন্ধরা সিটির ১৪টি দোকানে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা টিম। এ সময় কয়েকটি দোকান থেকে ১০০টির বেশি অবৈধ আইফোন ও মূল্যবান হাতঘড়ি জব্দ করা হয়।
অভিযান শেষে এডিজি জিয়া উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দার নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ অভিযান চালিয়ে ১০০টির বেশি আইফোন জব্দ করা হয়েছে। রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, মহাখালী, গুলশান ও উত্তরায় শুল্ক গোয়েন্দার পৃথক টিম অভিযান পরিচালনা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরায় মোট ১৪টি দোকানে অভিযান চালালেও অবৈধ আইফোন পাওয়া যায় মাত্র দুটিতে। মোবাইল গেজেট জোনে নামের দোকানে মেলে ১০টি ও ফোন এক্সচেঞ্জ নামের দোকানে মেলে ৯০টি আইফোন। বাকি দোকানগুলোতে অবৈধ মোবাইল ফোনসেট পাওয়া যায়নি। সেখানে শুধু প্যাকেট পাওয়া গেছে। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ওই প্যাকেটের আইফোনগুলো সরিয়ে ফেলেছেন কর্মচারীরা।’
তিনি বলেন, ‘যেখান থেকেই আইফোন কেনা হোক না কেন তার সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। জব্দ হওয়া ১০০টি মোবাইল ফোনের কোনো কাগজপত্র নেই। তাই এগুলো শুল্ক গোয়েন্দা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
অন্যদিকে শপিং মলের বাইরে ব্যবসায়ীরা পান্থপথের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষুব্ধ দোকানিদের অভিযোগ- প্রতি রমজান ও ঈদে শুল্ক বিভাগের লোকেরা তাদের মোবাইল জব্দ করে নিয়ে যায়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (এডিজি) জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানে যাওয়া র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যসহ বিশেষ টিমকে মার্কেটের বাইরে অবরোধ করেন দোকানের কর্মচারীরা।
শিহাব উদ্দিন নামে এক মোবাইল ব্যবাসায়ী জানান, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মোবাইল এনে দোকানে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ এনে শুল্ক গোয়েন্দারা প্রায় ২০ লাখ টাকার মোবাইল জব্দ করেছে। অথচ মোবাইল জব্দের সময় কোনো সিজারলিস্ট দেয়া হয়নি।
মোবাইলগুলো তারা কিভাবে দেশে আনেন জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, কেউ বিদেশ থেকে এলে তারা লাগেজে ২-৩টা মোবাইল এনে আমাদের কাছে বিক্রি করে। আমরা সেগুলোই বিক্রি করে থাকি।
মার্কেটের অ্যাপল জোন নামের একটি মোবাইলের দোকানের কর্মচারী ফাহাদ আহমেদ বলেন, শুল্ক গোয়েন্দারা আমাদেরকে কোনো সতর্কতা কিংবা কোনো কথাবার্তা ছাড়াই দোকানে এসে মোবাইল নিয়ে যায়। এর আগেও তারা এরকম করেছেন। তখন আমরা মোবাইল ক্রয়ের কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে তাদের কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা মোবাইলগুলো ফেরত দেয়নি।
এর আগে দোকান কর্মচারীদের তোপের মুখে এডিজি জিয়া উদ্দিন গাড়ি ঘুরিয়ে কারওয়ানবাজার মোড়ের দিক যেতে চাইলে সেখানে রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন দোকান কর্মচারীরা। এর ফলে শুল্ক গোয়েন্দা টিমের সদস্যরা আটকা পড়েন। সেখানে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা তাদের নিরাপত্তায় তৎপর হলে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দোকান কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
বেলা ৩টায় এডিজির গাড়িসহ বহরে থাকা গাড়িগুলো রাস্তার পাশে দাড় করিয়ে রাখা হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য র্যাব সদস্যরা ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়। রাস্তায় যান চলাচল শুরু হলে দোকান কর্মচারীরা আবার রাস্তা আটকে দেয়। দোকান কর্মচারীরা এডিজির গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে বসুন্ধরা সিটির ১৪টি দোকানে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা টিম। এ সময় কয়েকটি দোকান থেকে ১০০টির বেশি অবৈধ আইফোন ও মূল্যবান হাতঘড়ি জব্দ করা হয়।
অভিযান শেষে এডিজি জিয়া উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দার নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ অভিযান চালিয়ে ১০০টির বেশি আইফোন জব্দ করা হয়েছে। রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, মহাখালী, গুলশান ও উত্তরায় শুল্ক গোয়েন্দার পৃথক টিম অভিযান পরিচালনা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরায় মোট ১৪টি দোকানে অভিযান চালালেও অবৈধ আইফোন পাওয়া যায় মাত্র দুটিতে। মোবাইল গেজেট জোনে নামের দোকানে মেলে ১০টি ও ফোন এক্সচেঞ্জ নামের দোকানে মেলে ৯০টি আইফোন। বাকি দোকানগুলোতে অবৈধ মোবাইল ফোনসেট পাওয়া যায়নি। সেখানে শুধু প্যাকেট পাওয়া গেছে। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ওই প্যাকেটের আইফোনগুলো সরিয়ে ফেলেছেন কর্মচারীরা।’
তিনি বলেন, ‘যেখান থেকেই আইফোন কেনা হোক না কেন তার সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। জব্দ হওয়া ১০০টি মোবাইল ফোনের কোনো কাগজপত্র নেই। তাই এগুলো শুল্ক গোয়েন্দা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ