আজকের শিরোনাম :

প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে মন্তব্য করায় সমালোচনায় রাষ্ট্রপতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৩১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে মন্তব্য করেন; যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে।

রাষ্ট্রপতি হামিদ প্রায়ই তার হাস্যরসাত্মক কথার জন্য আলোচনায় আসেন। এর আগেও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাস্যরসাত্মক বিভিন্ন কথা বলেছিলেন। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে আসছিল।

তিনি বলেন, "আমার স্ত্রীকে বললাম এবার তো প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসছে। পরে বুঝলাম না, এই কথা বলেছি একদিন আগে। পরে শুনেছি সে নাকী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে টেলিফোন করে বলেছে এই প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বঙ্গভবনে আসার কী দরকার। এটা একটা যড়যন্ত্র। শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বঙ্গভবনে আসে নি"।

এই সময় উপস্থিত সবাইকে হাসিতে ফেটে পড়তে দেখা যায়। সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আমেরিকান গায়ক নিক জোনসের সাথে বাগদান হয়েছে। সেটা নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন।

এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

আবুল কালাম আজাদ নামে একজন লিখেছেন, "একজন রাষ্ট্রপতির কথা বার্তা আরও ব্যক্তিত্ব সুলভ হওয়া উচিত।উনি একজন রাষ্ট্রপতি, কমেডিয়ান না"।

তানভীর হাসান নামে একজন ইতিবাচক ভাবে দেখছেন। তিনি লিখেছেন, "হামিদ স্যার রসিক মানুষ। দেশ সেরা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এরকম কথা বলা যুক্তিসংগত"।

মাসুম তালুকদার নামে একজন লিখেছেন, "দেশে অনেক কৌতুক অভিনেতা আছে যারা আমাদের বিনোদনের জোগান দিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু একজন রাষ্ট্রপতিকে আমরা কৌতুক অভিনেতাদের কাতারে দাঁড় করাতে পারছি না..."।

মো. নিজাম নামে একজন লিখেছেন, "রাষ্ট্রপতি তার সরলতা প্রকাশ করেছেন,এখানে অন্য বিষয় চিন্তা করা ঠিক হবে না"।

শাহাদাত হোসেন আরিফ হোসেন লিখেছেন, "মাঝেসাঝে এসব করা যায় কিন্তু আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রের প্রথম সিটিজেনের এটা অভ্যাস হয়ে গেছে। সব জায়গায়,সব ধরনের কথা বার্তা বলার ক্ষেত্রে উনার আরো সচেতন থাকা উচিৎ। উনার ব্যক্তিগত রসবোধ আমার ভালো লাগে,কিন্তু তার উচিৎ উনার সাংবিধানিক পদের ভাবগাম্ভীর্য ধরে রাখা"।

মো. শাহীন আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, "রাষ্ট্রের এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কাছ থেকে এমন কমেডি মূলক বক্তব্য আশা করা যায়না।উনাকে বুঝা উচিত উনি একজন রাষ্ট্রপতি।রাষ্ট্র নায়কের মতই কথা বলা উচিত"।

আরিফ উদ্দিন ভূইয়া লিখেছেন, "উনি এর পূর্বেও বিভিন্ন সমাবর্তনে হাসি ঠাট্টা করেছেন। কিন্তু সেগুলো নিয়ে বিতর্ক হয়নি বরং মানুষ প্রশংসা করেছে। এবার এটা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কারণ জোকস ছিল অশ্লীল এবং অ্যাডাল্ট"।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ