আজকের শিরোনাম :

ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৫৭ | আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:২০

জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

আজ সোমবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ সংক্রান্ত বিলে সম্মতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন।

রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর কোনো বিল আইন হিসেবে গণ্য হয়। এখন এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করবে সরকার।

এর আগে গত বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংক্রান্ত নথি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দফতরে পাঠানো হয়।

এর আগের দিন মঙ্গলবার এ বিল সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিভিন্ন মহলের আপত্তির মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে পাস হয় বহুলালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল। এটিসহ ওই অধিবেশনে মোট ১৮টি বিল পাস হয়।

আইনটি পাস হওয়ার প্রতিবাদে সম্পাদকরা মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন। এর পর তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন আইন, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

সেখানে গণমাধ্যমের আপত্তিতে থাকা ধারাগুলো আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে। তবে এই আইনটিতেই বিতর্কিত ৫৭ ধারার বিষয়গুলো চারটি ধারায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশকে পরোয়ানা ও কারো অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ আইনে ঢোকানো হয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের সমালোচিত আইন ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’।

আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। বিশ্বের যে কোনো জায়গায় বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এ আইন লঙ্ঘন হয়, এমন অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে এ আইনে বিচার করা যাবে।

এ আইনের অধীনে সংগঠিত অপরাধ বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে।

এ সময়ে সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস সময় বাড়ানো যাবে। আইনে বলা হয়েছে, তথ্য অধিকারসংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর বিধানাবলি কার্যকর থাকবে।

আইনে ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ; মানহানিকর তথ্য প্রকাশ; ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত; আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে অপরাধে জেল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

বিতর্কিত ৫৭ ধারার বিষয়গুলো এ আইনেও চারটি ধারায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে কোনো বাংলাদেশি এ আইন লঙ্ঘন করলে তার বিচার করা যাবে।

গত ২৯ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন করেছিল মন্ত্রিসভা। তখন থেকে এ আইনের বেশ কয়েকটি ধারা নিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পক্ষ আপত্তি জানিয়ে আসছে।

সম্পাদক পরিষদ এই আইনের ৮টি (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৩) ধারা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছিল।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ