আজকের শিরোনাম :

‘ঢাবির সান্ধ্যকালীন কোর্সগুলোর মান খতিয়ে দেখতে হবে’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৪ | আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৩৪

ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ে চলমান ডিপ্লোমা ও সান্ধ্যকালীন কোর্সগুলো কতটা মানসম্মত ও ফলপ্রসূ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, এসব কোর্সের উদ্দেশে শিক্ষার প্রসার নাকি বাণিজ্যিক তা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি।

আজ শনিবার (০৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫১তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এ সমাবর্তনের মূল ভেন্যু। । যেখানে প্রথমবারের মতো ঢাবি অধিভূক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনীতি এখন গরিবের ভাউজ। গ্রামের ভাষায় ভাউজ হচ্ছে ভাবী। গরিবের বউ হচ্ছে সবার ভাবী। এখন রাজনীতিও তেমন। যে কেউ চাইলেই রাজনীতিতে আসতে পারছে। কিন্তু অন্য পেশায় কেউ চাইলেই যেতে পারে না।

বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অতুলনীয় এবং অনন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার পর দেশ গড়ার দায়িত্ব অনেকাংশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর অর্পিত হয়। আর তাই জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালিয় সব সময় কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করেছে।'

তিনি আরো বলেন, ' নানা প্রতিকূলতার মাঝেও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঢাবি অনেকাংশে সফল। ঢাবির গ্রাজুয়েটরা দেশের বিভিন্নক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রেখে চলেছে অনন্য অবদান।'

রাষ্ট্রপতি বলেন, 'মনে রাখতে হবে জাতির অর্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়। তাই তাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।'

গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'নিছক চাকরির জন্য উচ্চশিক্ষা নয়। উচ্চ শিক্ষার মূল লক্ষ্য নিজে শিক্ষিত হওয়া এবং অন্যকে শিক্ষিত করা। মানবিক ও উদার হওয়া। জীবনকে প্রকৃতপক্ষে উপলব্ধি করা এবং মানবসত্তাকে দিয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করা।'

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার জীবনের অন্যতম মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছেন ২১ হাজার ১১১ জন গ্র্যাজুয়েট। যা ঢাবির ইতিহাসে সর্বাধিক গ্র্যাজুয়েট। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৯৬টি স্বর্ণপদক, ৮১ জনকে পিএইচডি এবং ২৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে।

সকাল ৭টা থেকেই ঢাবি ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। পুরো ক্যাম্পাস ছেয়ে গেছে সমাবর্তনের ব্যানার-ফেস্টুনে। 

এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ