আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশে হঠাৎ কেন বেড়ে গেছে ইলিশ আহরণ?

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৩৩

বাংলাদেশের নদনদী থেকে শুরু করে মোহনা ও সমুদ্রে এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ মাছ। ইলিশ ধরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার আগ মুহূর্তে এতো মাছ জালে ধরা পড়ায় খুশি জেলেরা।

মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য অধিদফতর।

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ,, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ আদেশ অমান্য করলে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখেছে মৎস্য অধিদফতর।

মূলত এ মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সাগর থেকে স্রোতযুক্ত মিঠাপানিতে এসে ডিম ছাড়ে বলে জানান মৎস্য গবেষকরা।

তবে মাছ বেশি ধরা পড়লেও বরফ-সংকটের কারণে তা সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। যার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে।

লৌহজং জেলে সমিতির প্রেসিডেন্ট পরিমল মালো বিবিসিকে জানান, "শুধুমাত্র চাঁদপুর ও মাওয়াতে প্রতিদিন ৩শ মণেরও বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কারণে বাজারে ইলিশের দাম কমে গেছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। ছোট আকারের ইলিশ আড়াইশ থেকে তিনশ টাকায় এক কেজি ওজনের মাছ ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা দরে এবং বড় ইলিশের দাম পড়ছে মাত্র ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা। ঢাকাতেও মাছের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা দরে।"

মাছের দাম বাজারে কম হলেও জালে মাছ পড়ায় জেলেরা লাভের মুখ দেখছেন বলে তিনি জানান।

তবে হঠাৎ করে এতো ইলিশ জালে পড়ার কারণ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সামুদ্রিক নিম্নচাপকে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন চট্টগ্রাম মেরিন সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান।

তিনি বলেন, "একসময় অবাধে ইলিশ আহরণের কারণে বছরের প্রায় প্রতিটি সময় ইলিশের সংকট থাকতো। তবে সরকার মাছের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কারেন্ট জাল জব্দ, জাটকা ধরায় কড়াকড়ির কারণে এখন জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।"

"এছাড়া সামুদ্রিক নিম্নচাপ এবং সাইক্লোনের একটা প্রভাবও রয়েছে। কেননা ওই সময়টায় জেলেরা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যেতে পারেনা। বছরে ২০ থেকে ২৫টি নিম্নচাপ হয়ে থাকে। এতে ৪০-৪৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকে যেটা মৎস্য সম্পদের জন্য এক ধরণের আশীর্বাদ বলতে পারেন।" জানান মি. খান।

সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরে এল-নিনোর প্রভাবে নদীতে ইলিশ আহরণের সম্ভাবনা বেড়ে গেলেও চলতি বছরে সমুদ্রে এর কোন প্রভাব নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ