অতিরিক্ত কলরেট বৃদ্ধির প্রতিবাদ

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সর্বনিম্ন কলরেট ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ পয়সা করতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

নির্দেশনায় সর্বনিম্ন কলরেট ৪৫ পয়সা এবং সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা করতে বলা ও একই সঙ্গে মোবাইল ফোনকলে অফনেট ও অননেট পদ্ধতিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে আজ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন'র সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রযুক্তি খাতে গ্রাহকের সুরক্ষা দেওয়ার জন্যে একটি আলাদা আইন ও কমিশন গঠন করার জন্যে সরকারের প্রতি অনুরোধও জানান। 

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সড়কের মতো এখাতেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

এসময় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের পক্ষ সরকারের প্রতি নয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে:

১)অফনেট, অননেট প্রথা বাতিল করে সরাসরি একক কল লাইন চালু করা।

২)কলরেট পূর্বের ২৫পয়সা বা তারও কম করা যায় কিনা তার জন্যে গণশুনানী ও নতুন করে কস্ট মডেলিং এর ব্যবস্থা করা।

৩)টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে গ্রাহক সুরক্ষা দেওয়ার জন্যে একটি আলাদা আইন ও কমিশন গঠন করা।

৪)কলরেটের ক্ষতিপূরণ গ্রাহককে দ্রুত ফেরত দেওয়া।

৫)নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ১মাসের মধ্যে ঠিক করা।

৬)চলতি বাজেটে পাশ হওয়া ইন্টারনেটের উপর ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা কেন বাস্তবায়ন হলো না তার ব্যাখ্যাসহ বাস্তবায়ন করা।

৭)প্রমোশনাল ম্যাসেজ যত্রতত্র পাঠানো বন্ধের নির্দেশ কেন বাস্তবায়ন করছে না অপারেটর কে তার ব্যাখ্যা ও সরকারকে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা।

৮)এমএনপি চালুর পূর্বে অপারেটর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০টাকা আদায়ের সাথে অতিরিক্ত ১০০টাকা ভ্যাট কে প্রদান করবে এবং কিভাবে এর অর্থ আদায় হবে তার পরিস্কার ব্যাখ্যা দেওয়া।

৯)ফোরজি-চালুর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার চুক্তি অনুযায়ী মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ২০ এমবিপিএস আগামী ৬মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করার অনুরোধ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাজেকুজ্জামান রতন, রাজনীতিবিদ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

এবিএন/শাও/জসিম/এমসি