আজকের শিরোনাম :

‘আমরা সারাদেশে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করে দিচ্ছি’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৩১ | আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৪

বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে দেশে সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সারাদেশে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করে দিচ্ছি। মানুষের যাতায়াত সহজ হচ্ছে। এর মধ্যে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, দারিদ্র্য হ্রাস পাবে।

আজ রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার পর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’ এবং ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতুর’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আপামর জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। পরিবর্তন হয়েছিল মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ভাগ্যের, যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছিল তারাসহ কিছু মানুষের জীবনের উন্নয়ন হয়েছিল। সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবেনি, তারা দারিদ্র্যসহ বিভিন্ন সমস্যায় নিমজ্জিত ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৬ বছর পর আমি দেশে আসি। ১৯৭৫ সালের পর আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হতো না। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। এক পর্যায়ে এক রকম জোর করেই আমি দেশে ফিরেছি। এর পর সারা দেশ ঘুরেছি। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ শুরু করি। তখন থেকেই সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।  

গঙ্গাচড়ার সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতুটির কারণে ঢাকা আসতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ কমে যাবে। ফলে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়বে এবং ওই এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। কুড়িগ্রাম থেকে লালমনিরহাট হয়ে আমরা রেল যোগাযোগও স্থাপন করব।

তিনি বলেন, রংপুর দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকা। সেখানে সবসময় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। ১৯৯৬ সালে যখন সরকারে আসি, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। ২০০৮ সালে আমরা আবার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসি। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় আছি। এখন কোথাও মঙ্গা নেই। আমরা রিসার্চ করে করে বহুমুখী ফসল উৎপাদন করতে শুরু করি। এই অঞ্চলে (উত্তরাঞ্চলে) আমরাই প্রথম ভুট্টা চাষের জন্যে প্রজেক্ট করি। আমি বলতে পারি, গত সাড়ে ৯ বছরে কেউ মঙ্গা শব্দটি শোনেনি। উত্তরবঙ্গের লোক মঙ্গা শব্দটি ভুলেই গেছে।

বাঞ্ছারামপুরের সেতু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ সেতু নিয়ে কয়েকটি উপজেলার মানুষের মধ্যে ঝগড়া ছিল। এর পর আমি সবাইকে ডাকলাম। ম্যাপ নিয়ে বসলাম। এরপর ডিজাইন চেঞ্জ করে দিয়ে আমি নতুন করে বললাম, সেতুর একটা অংশ বাঞ্ছারামপুর থেকে চলে যাবে মুরাদনগর, আরেকটা অংশ চলে যাবে হোমনায়। তাহলে সেতুটি দেখতেও অন্যরকম হবে, যা এখন ওয়াই সেতু নামে পরিচিতি পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্স পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ