আজকের শিরোনাম :

ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৩২

বিশ্বে এই প্রথম ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্য বিজ্ঞানীরা।

আজ শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও তার সহযোগী গবেষকরা। তারা প্রায় দুই বছর গবেষণা করে এ সাফল্য অর্জন পেয়েছেন বলে জানান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে গবেষণায় জড়িত চার সদস্যের বিজ্ঞানীদলের প্রধান ও প্রকল্প সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মো. সামসুল আলম (ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগ), প্রধান গবেষক-১ প্রফেসর ড. মো. ফজলুর রহমান মোল্লা (পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগ), প্রধান গবেষক-২, প্রফেসর ড. মো. শহীদুল ইসলাম, (বায়োটোকনলজি বিভাগ), প্রধান গবেষক-৩, প্রফেসর ড. মো. গোলাম কাদের খান (ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগ) উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে মো. সামসুল আলম বলেন, ‘সারা বিশ্বে ইলিশের জীবন রহস্য উদ্ঘাটন আমরাই প্রথম করলাম—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া আমাদের বিভিন্ন নদ-নদীর ইলিশকে আমরা ব্র্যান্ডিং করতে পারব। আমরা জানি যে, বাংলাদেশের ইলিশের একটা ব্র্যান্ডিং আমরা পেয়েছি। এখন আমরা ইচ্ছে করলে এই তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন নদ-নদীর হিসেবে পদ্মা, মেঘনা, এরপর অন্যান্য নদীতে যে ইলিশ আছে, নদীভিত্তিক ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব হবে এই তথ্য থেকে।’

সামসুল আলম আরও বলেন, ‘আগামী ১০ তারিখে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ইলিশের জীবন রহস্য উদ্ঘাটনের ডিকলারেশন (ঘোষণা ) সেমিনার আমরা আহ্বান করেছি। সেখানে আমরা সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের শিক্ষকদের এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের আমন্ত্রণপত্র দিয়েছি।’ এই গবেষণার তথ্য ব্যবহার করে সারা বিশ্বের ইলিশের বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিভাগ আলাদা করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রকল্প সমন্বয়কারী আরও বলেন, ‘এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে যে ইলিশ আছে সেগুলোর মধ্যে জেনেটিক কোনো পার্থক্য আছে কি না, আবার বাংলাদেশের বাইরে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মধ্যপ্রাচ্যে যে ইলিশ আছে, সেগুলোর থেকে বাংলাদেশের ইলিশ স্বতন্ত্র কি না, সেগুলো জানার জন্য আমরা ইলিশের পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করেছি এবং এই তথ্যটি আন্তর্জাতিক ডাটাবেজে আমরা জমা করেছি। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সেটার অনুমোদন হয়েছে আমাদের কাছে।’

গবেষকরা জানান, বিশ্বে ইলিশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৬০ ভাগ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। প্রায় চার লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ইলিশ আহরণের সঙ্গে জড়িত। তাই, ইলিশের জীবন রহস্য আবিষ্কার দেশের অর্থনীতির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ