আজকের শিরোনাম :

ইভিএম ব্যবহারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই : মাহবুব তালুকদার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩৭

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় বিরোধিতা করে নোট অব ডিসেন্ট(আপত্তিপত্র)দিয়েছি। বললেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরপিও সংশোধন নিয়ে বৈঠক শেষে সংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটারদের মধ্যে ইভিএম ব্যবহারে অনিহা রয়েছে। আগামী নির্বাচনে এটি সম্ভব নয়। আমি মনে করি ভোটারদের অভ্যস্ত করতে না পারলে ইভিএম সফল হবে না।

তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি। অল্প সময়ের মধ্যে ইভিএম প্রকল্পের বরাদ্দ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারার সক্ষমতা, বিনা টেন্ডারে কেনা ইভিএমের কারিগরি পরীক্ষায় ঘাটতি, ইভিএম ব্যবহারে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, ইভিএম নিয়ে ভোটারদের অনভ্যস্ততা ও ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কার কারণে ইভিএম ব্যবহারে আরপিও সংশোধনে ইসির উদ্যোগ সমর্থন করছি না।

মাহবুব তালুকদার বলেন, ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য যে প্রস্ততি থাকা দরকার তা আমাদের নেই।

তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেভাবে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে তাতে করে আগামী ৫ থেকে ৭ বছরে ভোটাররা এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন বলেও মনে করেন এ নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, আমি আশা করি আগামী ১০ বছর পর ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচনে অনিবার্য হয়ে পড়বে।  

সকাল ১১টা ইসি সচিবালয়ের সভা কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে.এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে আরপিও সংশোধন নিয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

পরে সভা শুরুর ১০ মিনিট পর বের হয়ে ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রদান করেন মাহবুব তালুকদার।
এদিকে বিকালে আরপিও সংশোধন সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কে.এম নুরুল হুদা বলেছিলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভূক্ত করে বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশোধন মানেই যে এ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করা হবে তা নয়। তবে প্রয়োজনে যাতে ব্যবহার করা যায়, সে জন্য এ আরপিও সংশোধন করা হলো। স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছি বলেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তিপত্র) নিয়ে কে.এম নুরুল হুদা বলেন, এক জন নির্বাচন কমিশনার নোট অব ডিসেন্ট' (আপত্তিপত্র) দিয়েছেন। কিন্তু বাকি কমিশনাররা সম্মতি জানিয়েছেন।

সভায় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও বিগ্রেডিয়ার(অব.) শাহাদাত হোসেনসহ নির্বাচন কমিশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ