আজকের শিরোনাম :

মন্ত্রিসভায় সরকারি চাকরি আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৬:১৪

ঢাকা, ২০ আগস্ট, এবিনিউজ : ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বিধানে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চার্জশিট গ্রহণের আগে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে।

আজ ২০ আগস্ট (সোমবার) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বহুল প্রতীক্ষিত আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এই অনুমোদনের কথা জানান।

সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য আইন প্রণয়নের বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু কোনো সরকারই এ আইন প্রণয়ন করেনি। সরকারগুলো বিধি, নীতিমালা ও প্রয়োজনমতো নির্দেশনাপত্র জারি করে সরকারি কর্মচারীদের পরিচালনা করছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন গত মহাজোট সরকারের সময় আইনটি করার জন্য কয়েক দফা খসড়া প্রণয়ন করা হলেও খসড়ার বিভিন্ন বিধান নিয়ে বিতর্ক ওঠায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ফের ক্ষমতায় এলে ২০১৫ বছরের ১৩ জুলাই ‘সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৫’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে তা অনুমোদন পায়নি।

তখন এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, এটা (সরকারি কর্মচারি আইন) ছিল ১৬ ধারার ছোট আইন। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর এটা ৭১টি ধারার অনেক বড় আইন হয়ে গেছে।

এজন্য মন্ত্রিসভা বলেছে এটা একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। কারণ অনেক বড় পরিবর্তন হয়ে গেছে। এরপর ফের ঝুলে যায় আইনটি।

পরে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদনের জন্য ‘সরকারি কর্মচারী আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হয়।

প্রস্তাবিত আইনটির বিভিন্ন ধারা আরও চুলচেরা বিশ্লেষণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনকে প্রধান করে ৮ সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করে সরকার।

ওই কমিটি ৫ দফা বৈঠক করে ২৯টি প্রস্তাবসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। গত এপ্রিলে সচিব কমিটির বৈঠকে ওই প্রতিবেদন অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদয় দেয় মন্ত্রিসভা।

এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ