আজকের শিরোনাম :

কোরবানির পশুর ভিড় বাড়ছে রাজধানীর হাটগুলোতে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৬:২২ | আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০২

ঢাকা, ১৭ আগস্ট, এবিনিউজ : কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে রাজধানীর হাটগুলোতে। এ বছর রাজধানীতে মোট ২৩টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি ও দক্ষিণে থাকছে ১৩টি পশুর হাট। নির্ধারিত পশুর হাটের বাইরে কোনও হাট বসতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। 

রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী। তবে কুরবানি উপলক্ষে অস্থায়ী হাট বসে রাজধানী জুড়ে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাটগুলো হলো উত্তরা ১৫ নং সেক্টর, ৩০০ ফুট সড়কের উত্তরে বসুন্ধরা হাউজিং, খিলক্ষেত বনরুপা, ভাটারা (সাইদ নগর), ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক, মিরপুর সেকশন-০৬ ইস্টার্ন হাউজিং, মিরপুর ডিওএইচএস উত্তরের খালি জায়গা ও উত্তর খান মৈনারটেক শহীদ নগর হাউজিং। তবে এবার আফতাব নগরে কোনও পশুর হাট নেই।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে কমলাপুর বালুর মাঠ, মেরাদিয়া, উত্তর শাহজানপুর, কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশের জায়গা, ঝিগাতলা, রহমতগঞ্জ, কামরাঙ্গীচর, আরমানিটোলা, ধূপখোলা, পোস্তগোলা, দনিয়া কলেজ, শ্যামপুর ও ধোলাইখাল। 

এরইমধ্যে হাটে পশু আনা শুরু করেছেন ব্যাপারীরা। আস্তে আস্তে ক্রেতারাও আসছেন কুরবানির পশু কিনতে।
কুষ্টিয়া থেকে খিলক্ষেত পশুর হাটে আসা আলম নামের ব্যাপারী জানান, আমাদের কুষ্টিয়া থেকে গরু প্রত্যেক বছরেই আগে আসে। এবারও আগেই এসেছে।

রহিম নামের আরেক ব্যাপারী জানান, হাটে গরু নিয়ে আসার পর কোনও সমস্যা হয়নি। শুধু পানির জন্য একটু সমস্যা।

খিলক্ষেত বনরুপা পশুর হাটের ইজারাদার মোস্তাক আহমেদ বলেন, প্রশাসনের কাছে আমরা এই দাবি রাখব, নির্ধারিত হাট ছাড়া রাস্তাঘাটে জ্যাম সৃষ্টি করে অবৈধভাবে যেন গরুর হাট না বসায়।

এদিকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে শৃঙ্খলা রক্ষায় কোনও ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে তারা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, মেক্সিমাম হাটগুলো হচ্ছে শহরের উপপ্রান্তে। যাতে করে শহরে যানজট না হয়, জনসাধারণের অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। নির্ধারিত হাটের বাইরে কোনও হাট বসতে দেয়া হবে না। সেইসঙ্গে জালটাকা শনাক্তের ব্যবস্থা থাকবে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান মুফতি মাহমুদ খান বলেন, অজ্ঞান ও মলম পার্টির দেয়া খাবার-দাবার খেয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে এইসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই আমরা হাটকেন্দ্রীক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জালটাকার কোনও মতেই যেন বিস্তার ঘটতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।

এদিকে হাটের ইজারাদার ও ব্যাপারীরা আশা করছেন  দুই-এক দিনের মধ্যেই পুরোদমে জমে উঠবে পশু বেচাকেনা।

এবিএন/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ