আজকের শিরোনাম :

সাংবাদিক মুশফিকুর রহমানকে সুনামগঞ্জ থেকে উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০১৯, ১০:৪৭ | আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০১৯, ১২:৩৮

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মোহনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মুশফিকুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার ভোরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের গৌবিনপুর গ্রাম সংলগ্ন সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মুশফিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার চরবোয়ালী ফকির বাড়ি। তিনি ঢাকার মিরপুর ১২ নং এলাকার  ৪নং রোডের একটি বাসায় বসবাস করতেন।

পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা জানায়, মঙ্গলবার ভোরে গৌবিনপুর গ্রামের সড়কে তিনি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে দৌড়াচ্ছিলেন। এ সময় গ্রামের মসজিদের ইমাম তাকে আশ্রয় দিয়ে এলাকাবাসী ও সদর থানার পুলিশকে খবর দেন। পরে সদর  থানার এসআই জিন্নাতুল ইসলাম ও মোহনা টেলিভিশের স্থানীয় প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জর সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেন। তার শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের ডাক্তার।

গৌবিনপুর গ্রামের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ফুয়াদ মনি বলেন, গোবিনপুর এলাকায় তিনি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন। স্থানীয় এক মোসল্লি পেয়ে তার পরিচয় জানেন অপহৃত সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান তিনি। পরে তিনি আশ্রয় দিয়ে সদর থানা পুলিশ ও মোহনাটিভির সাংবাদিককে খবর দেন।

মোহনা টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস বলেন, গৌবিনপুর গ্রামের একটি মসজিদ থেকে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

অপহৃত সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান বলেন, ৩ আগস্ট  গুলশান গোলচত্বর এলাকার হোটেলে তার মামার সঙ্গে নাস্তা খেয়ে তিনি মিরপুরের বাসায় যাওয়ার জন্য একটি বাসে ওঠেন। ওঠে দেখেন বাসটি মিরপুরের নয়। এক পর্যায়ে বাসের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার পর তার মুখে পানি জাতীয় পদার্থ  স্প্রে করে এর পর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি। জ্ঞান ফিরলে তিনি বুঝতে পারেন তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা তাকে অনেক মারপিট করেছে মারপিটের একপর্যায়ে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেয়। পানি খেতে চাইলে তাকে অপহরণকারীরা পানি খেতে দেয়নি। গত কয়েকদিনে তাকে কেক, পেয়ারা খেতে দিয়েছে। তার উদ্ধারের খবর পরিবারের কাছে জানানো হয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর  থানার এসআই মো. জিন্নাতুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ধারনা করছে যে তাকে কেউ অপহরণ করে এখানে ফেলে দিয়ে গেছে।

গত ৩ আগস্ট বিকেলে মোহনা টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মুশফিকুর রহমান ঢাকার গুলশান এলাকায় তার মামার সঙ্গে দেখা করে বাসে চড়ে মিরপুরের বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। গতকাল সোমবার তাকে উদ্ধারের দাবিতে সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ