যেসব খাবার বছরের পর বছর সতেজ থাকে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০১৮, ১০:০৮
ঢাকা, ২২ জুলাই, এবিনিউজ : যে কোনো খাবার কেনার সময় মেয়াদ আছে কি নেই, সেটা দেখা জরুরি। কেননা, কারখানায় তৈরি খাবারে দেওয়া থাকে বিপুল পরিমাণ প্রিজারভেটিভ। একটা নির্দিষ্ট সময় পর খাবারটি নষ্ট হয়ে যায়। তবে এমন কিছু প্রাকৃতিক খাবার আছে, যেগুলো নষ্ট হয় না বললেই চলে। যথাযথভাবে উপায়ে সংরক্ষণ করলে বছরের পর বছর সতেজ থাকে সেগুলো। জেনে নিন সেসব উপায়-
মধু : প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি মধু। এটি নষ্ট হয় না বললেই চলে। মধুর রাসায়নিক বিন্যাসটিই এমন যে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। অবাক করার মতো বিষয় হলো, মিসরের পিরামিড আবিষ্কারের সময় মমির সঙ্গে বয়ামভর্তি মধু পেয়েছিলেন প্রতœতাত্ত্বিকরা। এগুলো ছিল দুই থেকে তিন হাজার বছরের পুরনো। তখনো আহারযোগ্য ছিল সেই মধু। বিজ্ঞানীরা মধু চেখেও দেখেছিলেন। এর কয়েক বছর পর জর্জিয়াতে পাওয়া গিয়েছিল আরও পুরাতন মধু। এর বয়স প্রায় ৫ হাজার ৫০০ বছর। চাল-ডাল : চাল বা ডাল সংরক্ষণের জন্য উত্তম তাপমাত্রা হচ্ছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শস্যদানাগুলো রাখতে হবে আলো-বাতাস পর্যাপ্ত যাতায়াত করে এমন স্থানে। ব্যবহার করতে হবে প্লাস্টিক বা কাচের জার। তাতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে না। এভাবে সংরক্ষণ করলে প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত চাল বা ডাল ভালো রাখা সম্ভব। আরও চমকপ্রদ বিষয় হলো, এভাবে রাখলে চাল কিংবা ডালের পুষ্টিগুণ বা ঘ্রাণ কমবে না এতটুকু!
সয়া সস : এই খাবারটি কতদিন ভালো থাকবে, সেটা নির্ভর করে গুণগত মানের ওপর। সবচাইতে সেরা মানের সয়া সস বোতলের মুখ খোলার পরও বছর তিনেক ভালো থাকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায়। আর যদি বায়ুনিরোধক বোতলে বা ফ্রিজে রাখা যায়, তা হলে ভালো থাকে আরও অনেক দিন। তবে তা হতে হবে সেরা মানের।
ভিনেগার বা সিরকা : সাদা সিরকাও কখনো নষ্ট হয় না। কারণ সিরকা মূলত অন্য খাবারকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। বায়ুনিরোধক বোতলে শুকনা ও অন্ধকার স্থানে সংরক্ষণ করলেই চলবে।
লবণ : প্রাকৃতিক লবণ মূলত খনিজ পদার্থ। এই খাদ্যদ্রব্যটি নষ্ট হওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে বেশি আর্দ্র পরিবেশে থাকলে লবণ পানি শুষে নিয়ে গলে যেতে পারে। কিন্তু একটু শুষ্ক পরিবেশে রাখলেই লবণ থাকবে আজীবন অবিকৃত। তবে আয়োডিনযুক্ত লবণ ভালো থাকে মোটামুটি এক বছর। এর পর আয়োডিন উবে যায়। কিন্তু খাওয়ার যোগ্য থাকে লবণ।
চিনি : লবণের মতো চিনিও নষ্ট হয় না। এমনকি ব্রাউন সুগার বা আইসিং সুগারও কখনো নষ্ট হয় না। ভালো বায়ুনিরোধক জারে ভরে সংরক্ষণ করলে পোকামাকড় ধরার ভয়ও থাকে না।
ম্যাপল সিরাপ : প্যানকেক খেতে বা বেকিং করতে পছন্দ করা অনেকেরই পরিচিত ম্যাপল সিরাপ। এই খাবারটি বোতলে মুখ বন্ধ অবস্থায় থাকলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। আর যদি মুখ খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে ভালো থাকবে অনেক বছর।
প্রাকৃতিক সব খাবারই একটু যত্ন করলে সংরক্ষণ করা যায় অনেক দিন। হাজার হাজার বছর ধরে ফ্রিজ ছাড়াই এসব খাবার সংরক্ষণ করা হয়েছে।
তথ্য: ব্রাইট সাইড
এবিএন/সাদিক/জসিম
মধু : প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি মধু। এটি নষ্ট হয় না বললেই চলে। মধুর রাসায়নিক বিন্যাসটিই এমন যে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। অবাক করার মতো বিষয় হলো, মিসরের পিরামিড আবিষ্কারের সময় মমির সঙ্গে বয়ামভর্তি মধু পেয়েছিলেন প্রতœতাত্ত্বিকরা। এগুলো ছিল দুই থেকে তিন হাজার বছরের পুরনো। তখনো আহারযোগ্য ছিল সেই মধু। বিজ্ঞানীরা মধু চেখেও দেখেছিলেন। এর কয়েক বছর পর জর্জিয়াতে পাওয়া গিয়েছিল আরও পুরাতন মধু। এর বয়স প্রায় ৫ হাজার ৫০০ বছর। চাল-ডাল : চাল বা ডাল সংরক্ষণের জন্য উত্তম তাপমাত্রা হচ্ছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শস্যদানাগুলো রাখতে হবে আলো-বাতাস পর্যাপ্ত যাতায়াত করে এমন স্থানে। ব্যবহার করতে হবে প্লাস্টিক বা কাচের জার। তাতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হবে না। এভাবে সংরক্ষণ করলে প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত চাল বা ডাল ভালো রাখা সম্ভব। আরও চমকপ্রদ বিষয় হলো, এভাবে রাখলে চাল কিংবা ডালের পুষ্টিগুণ বা ঘ্রাণ কমবে না এতটুকু!
সয়া সস : এই খাবারটি কতদিন ভালো থাকবে, সেটা নির্ভর করে গুণগত মানের ওপর। সবচাইতে সেরা মানের সয়া সস বোতলের মুখ খোলার পরও বছর তিনেক ভালো থাকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায়। আর যদি বায়ুনিরোধক বোতলে বা ফ্রিজে রাখা যায়, তা হলে ভালো থাকে আরও অনেক দিন। তবে তা হতে হবে সেরা মানের।
ভিনেগার বা সিরকা : সাদা সিরকাও কখনো নষ্ট হয় না। কারণ সিরকা মূলত অন্য খাবারকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। বায়ুনিরোধক বোতলে শুকনা ও অন্ধকার স্থানে সংরক্ষণ করলেই চলবে।
লবণ : প্রাকৃতিক লবণ মূলত খনিজ পদার্থ। এই খাদ্যদ্রব্যটি নষ্ট হওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে বেশি আর্দ্র পরিবেশে থাকলে লবণ পানি শুষে নিয়ে গলে যেতে পারে। কিন্তু একটু শুষ্ক পরিবেশে রাখলেই লবণ থাকবে আজীবন অবিকৃত। তবে আয়োডিনযুক্ত লবণ ভালো থাকে মোটামুটি এক বছর। এর পর আয়োডিন উবে যায়। কিন্তু খাওয়ার যোগ্য থাকে লবণ।
চিনি : লবণের মতো চিনিও নষ্ট হয় না। এমনকি ব্রাউন সুগার বা আইসিং সুগারও কখনো নষ্ট হয় না। ভালো বায়ুনিরোধক জারে ভরে সংরক্ষণ করলে পোকামাকড় ধরার ভয়ও থাকে না।
ম্যাপল সিরাপ : প্যানকেক খেতে বা বেকিং করতে পছন্দ করা অনেকেরই পরিচিত ম্যাপল সিরাপ। এই খাবারটি বোতলে মুখ বন্ধ অবস্থায় থাকলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। আর যদি মুখ খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে ভালো থাকবে অনেক বছর।
প্রাকৃতিক সব খাবারই একটু যত্ন করলে সংরক্ষণ করা যায় অনেক দিন। হাজার হাজার বছর ধরে ফ্রিজ ছাড়াই এসব খাবার সংরক্ষণ করা হয়েছে।
তথ্য: ব্রাইট সাইড
এই বিভাগের আরো সংবাদ