রমজানে ব্যথায় ফিজিওথেরাপি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০১৮, ১৭:২৫
মুজিবুল হক শ্যামল, ০৬ জুন, এবিনিউজ : শুরু বলতে বলতে পবিত্র মাহে রমজান প্রায় শেষের দিকে। তারপরও যা বাকি আছে তাতে আমাদের সুস্থ ও সুন্দর থাকা চাই। রমজান মাসে অনেকে বাত–ব্যথা রোগী বিশেষ করে যারা হাঁটু ব্যথায় আক্রান্ত তারা এসময় সালাতুত তারাবিহ পড়তে বেশ অসুবিধায় পড়ে যান। কারণ তারাবিহ নামাজ একটানা অনেক সময় ধরে পড়তে হয়। তাই তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। অনেকেই বসে নামাজ পড়লে অস্বস্তি বোধ করেন বা নিজেকে অপরাধী ভাবেন। তাই ব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের ফিজিওথেরাপি শুরু করুন। ফলে আপনি রোজায় অনেকেটা ফিট হয়ে যাবেন। রমজানে দিনের বেলা বা রাতে সময় পেলে ফিজিওথেরাপি নিতে পারেন। তাতে আপনি বেশি কর্মক্ষম থাকবেন। আসলে রমজান মাসে বেশি পরিমাণ নামাজ–কালাম পড়তে হয় বা নামাজের পরিমাণ অন্যান্য মাসের তুলনায় কিছুটা বেশি। যারা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে বেশি সমস্যা বোথ করেন তারা চেয়ারে বসেই নামাজ পড়ুন। আবার অনেকে আছেন কোমর ব্যথায় কষ্ট পান একটানা নামাজ বা বসে কোরআন তেলোয়াত করার সময়।
রমজান মাসে ব্যথার ওষুধ সেবনে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে এসময় গ্যাস্টিকের সমস্যা হবার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া সারাদিন রোজা রাখার ফলে ওষুধ পাকস্থলীর প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে অথবা শরীর দুর্বল করে দিতে পারে। ব্যথা নাশকের চেয়ে ফিজিওথেরাপি অনেক উত্তম, কার্যকরী ও নিরাপদ। সাহরির পূর্বে আর ইফতারির দুই ঘন্টা আগে বা পরে থেরাপি নিতে পারেন। কোমরে বেল্ট পড়ে বা হাঁটুর ক্যাপ পড়ে নামাজ পড়বেন না, এতে অস্বস্থি আরও বাড়বে। যাদের ওজন বেশি তাদের জন্য রমজানে ওজন কমানোর একটি বিরাট নেয়ামত। পরিমিত খাবার গ্রহণ করে এই মাসে ওজনটা কমিয়ে নিতে পারেন। যারা ব্যথা সত্বেও স্বাভাবিক নিয়মে নামাজ আদায় করলে অসুবিধা বোধ করেন না, তারা স্বাভাবিক নিয়মে নামাজ আদায় করুন। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে আপনার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে। তাই এই সময় একজন ফিজিওথেরাপি ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে আপনার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবে। তাই একজন এক্সপার্ট ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন। (সংগৃহীত)
এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ