আজকের শিরোনাম :

নারী নির্যাতন বিষয়ে জাস্টিস অব ডিমান্ড নোটিশ প্রদান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১২:৪৯

দেশে ক্রমবর্ধমান যৌন অপরাধ  উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায়  সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এমত অবস্থায় গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫(৩)ও (৫) অনুচ্ছদ অনুসারে বিচার দ্রুত সম্পন্ন হতে হবে এবং  অমানবিক ও অবজ্ঞা পূর্ণ হওয়া যাবে না।

দ্রুত-  যৌন অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলো প্রথমে থানায় যায়। সংশ্লিষ্ট থানায় যৌন অপরাধগুলো তদন্ত করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পুলিশ সদস্য না থাকায় তদন্ত ব্যাহত হয়। এই ক্ষেত্রে প্রতিটি থানায় পুলিশের একটি যৌন অপরাধসমূহ তদন্ত করার জন্য বিশেষ ইউনিট থাকতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া এবং তদন্তের ধীরগতি ন্যায় বিচার কে  ব্যাহত করে। (slow investigations lead to slower proceedings).

যৌন অপরাধগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংবিধানের বিধান প্রতিবিম্বিত হয়েছে আমাদের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০ ধারায়। সেখানে বলা হয়েছে যে মামলাটি বিচারের জন্য ট্রায়ালে আসলে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে হবে এবং বিচার শুরু হওয়ার পর প্রতি কার্যদিবসে মামলাটি চলমান থাকবে। এই আইনটি মহামান্য হাইকোর্টের একটি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

অমানবিক ও অবজ্ঞা পূর্ণ- পুলিশের  একটি দক্ষ ইউনিট না থাকার কারণে  একজন ধর্ষিতা নারী যখন ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে থানায় যায় তখন তাকে অপমানজনক প্রশ্নের  ও  অবজ্ঞা পূর্ণ ব্যাবহারের  সম্মুখীন হতে হয় এবং এই অপমানটি সম্মুখীন তাকে সামাজিকভাবেও  হতে হয়। শুধু এখানেই শেষ নয় কোর্টে সাক্ষী দেওয়ার সময় সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারা অনুসারে তাকে অপমানজনক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। ধর্ষিতা নারীর সম্মান রক্ষার জন্য বিচার চলাকালীন সময়ে নারী শিশু আইনে ভিকটিমকে রুদ্ধ কামরায় বিচার করার  বিধান রয়েছে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ র্ধষণের মামলা বিচারবহির্ভূত সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে, যা সস্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক ও অমানবিক।

আমাদের পেনাল কোডে ধর্ষণের  যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটি যুগোপযোগী নয় বিধায় সেখানেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ভারত সহ পৃথিবীর সব উন্নত দেশই ধর্ষণ এর সংগায় পরিবর্তন এনেছে।

সারাদেশে গত পাঁচ থেকে দশ বছরে সব থানায়  কতকগুলো যৌন অপরাধের মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কোর্টগুলোতে কতগুলো মামলা বিচারের জন্য দাখিল হয়েছে  তার একটি ডাটা চাওয়া হয়েছে। এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে justice of demand নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান আইন, স্বরাষ্ট্র, মহিলা ও শিশু, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ও পুলিশ প্রধানকে এই নোটিশ প্রদান করে। বিষয়চি নিয়ে অভিলম্বে উচ্চ আদালতে আইন ও শালিস কেন্দের পক্ষ থেকে প্রতিকার প্রার্থনা করা হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ