আজকের শিরোনাম :

স্কুলছাত্রী নিলা হত্যা : রিমান্ডে অভিযুক্ত মিজানের সহযোগী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:০৩

ছুরিকাঘাতে নিহত স্কুলছাত্রী নীলা ও অভিযুক্ত মিজানের সহযোগী সেলিম পালোয়ান। ছবি : সংগৃহিত
সাভারে চাঞ্চল্যকর নীলা রায় (১৪) নামে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্য মিজানুর রহমানের এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। 

মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট এলাকা থেকে ফেরি পারপারের সময় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার সেলিম পালোয়ানের (২৮) বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তিনিসে সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বাস করছিলেন। নীলাকে হত্যার আগে ফোনে মিজানের সঙ্গে সেলিম পালোয়ানের অনেকবার কথা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। 

তবে এখনো পলাতক রয়েছে হত্যার মূল আসামী কিশোর গ্যাং সদস্য মিজানুর রহমান।

সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, নীলা হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মিজানুরের সহযোগী সেলিমকে মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি হত্যাকারী মিজানুর রহমানের ঘনিষ্ট সহযোগী এবং হত্যার সময় ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলেন। গ্রেপ্তার সেলিম পালোয়ানকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। 

পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যার পূর্বে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো কি না সেটিও নিশ্চিত হতে ভিসেরা ও ডিএনএ পরীক্ষা চলছে। এ ছাড়া মামলার মূল অভিযুক্ত বখাটে মিজান এলাকায় যাদের নিয়ে কিশোর গ্যাং গড়ে তুলেছিল সে বিষয়েও খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নীলার মা মুক্তি রায় বলেন, আমার মেয়ে ডাক্তার হতে চেয়েছিল কিন্তু সেই স্বপ্ন পুরণ হতে দিলেন না মিজানুর। তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো মিজানের মা তার মেয়েকে মিজানের সঙ্গে কথা বলতে ও ফেইসবুকে চ্যাট করার পরামর্শ দিতেন। একপর্যায়ে মিজানের অত্যাচারে বছরখানেক আগে তারা সাভারের বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের বালিরটেকে চলে গিয়েছিলেন। ছেলে ও মেয়ের পড়ালেখার জন্য কয়েক মাস পর তারা আবার সাভারে চলে আসেন। এর কিছুদিন পর থেকে মিজান আবার তার মেয়ের পিছু নেন। এরপরও ভয়ে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানানো থেকে বিরত থাকেন।  তার  মেয়েকে তুলে মাদক স্পটে নিয়ে ছুরিকাঘাত করেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ