আজকের শিরোনাম :

ইউএনও'র ওপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারি ৬ দিনের রিমান্ডে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৫৯ | আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:০৭

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবার ওপর হামলার  ঘটনায় গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

আজ শনিবার বিকেলে রবিউলকে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালতে হাজির করে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা। পরে শুনানি শেষে বিচারক রবিউলের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।‘

তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, রবিউল ইউএনও ওয়াহিদার কার্যালয়ে মালি হিসেবে কাজ করতেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি বরখাস্ত হন। তার গ্রামের বাড়ি বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নে।   

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রবিউল বরখাস্ত হয়েছিলেন ইউএনওর ব্যাগ থেকে টাকা চুরির অভিযোগে। তাকে গতকাল শুক্রবার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কিছু আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মই বেয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। এ সময় ইউএনওর চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা তাঁর বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকেও আঘাতে জখম করে। পরে কোয়ার্টারের অন্য বাসিন্দারা তাঁদের চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওয়াহিদা খানমকে ঢাকায় আনা হয়। রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।

এই ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ আরিফ হোসেন বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

এই মামলায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেো মোট চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে আসামি নবিরুল ইসলাম ও সান্টু কুমারকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও মামলার প্রধান আসামি আসাদুল হককে।

এ ঘটনায় অবহেলার দায়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলামকে গতকাল শুক্রবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁর স্থানে আজিম উদ্দিন নামের একজনকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ