আজকের শিরোনাম :

একুশ আগস্ট মামলায় আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক পেশ শেষ পর্যায়ে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০১৮, ১৮:৪২

ঢাকা, ৩১ জুলাই, এবিনিউজ: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামী পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

মামলায় এ পর্যন্ত ৪৩ আসামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ হয়েছে। আসামী কাল লৎফুজ্জামান বাবরের আইনজীবীকে যুক্তিতর্ক পেশ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এ আসামীর যুক্তিতর্ক পেশ শেষ হলে আসামীপক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ সমাপ্ত হবে।

আজ এ মামলার যুক্তিতর্ক পেশ করার ১০৩ তম দিনে আসামী বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিণ্টুর পক্ষে তিনি নিজে যুক্তিতর্ক পেশ শুরু করেন। এর আগে তার পক্ষে আইনজীবী এস.এম শাহজাহান ও রফিকুল ইসলাম যুক্তিতর্ক পেশ করেন। আজ পিন্টুর পক্ষে ষষ্ঠ দিনের মতো যুক্তিতর্ক পেশ করা হয়।

রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বি¯েম্ফারক আইনে দায়ের করা দুই মামলার একই সঙ্গে বিচার চলছে। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে আগামীকাল ১ আগস্ট।

মামলার প্রসিকিউশনের অন্যতম সদস্য আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল বাসস’কে জানান, পৃথক মামলায় মোট আসামীর সংখ্যা ৫২ জন। এর মধ্যে ৩ জন আসামীর অন্য মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন ৪৯ আসামীর বিচার চলছে। ১৮ জন এখনো পলাতক। আসামীদের মধ্যে ৪৫ জনের যুক্তিতর্ক পেশ হবে। ইতোমধ্যে ৪৩ জনের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, পলাতক চারজন আসামীর বিষয়ে রাষ্ট্র আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়নি। তারা হচ্ছেন-আসামী সাবেক সেনা কর্মকর্তা এটিএম আমিন ও সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান খান ও খান সাঈদ হাসান। এ ৪ আসামীর আইন অনুযায়ি সর্বোচ্চ সাজা তথা মৃত্যুদন্ড হতে পারে এমন কোন ধারায় অভিযোগ গঠন হয়নি। তাই তারা ‘স্ট্যাট ডিফেন্স বা রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী’ সুবিধা পাচ্ছেন না।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেয়। আসামী পক্ষে সাক্ষিদের জেরা করেছে। গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

২১ আগস্টের ওই নৃশংস হামলায় পৃথক দুটি মামলায় মোট আসামী ৫২ জন। মামলার আসামী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে রয়েছে। অন্য দিকে তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মেজর জেনারেল (এলপিআর) এটিএম আমিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ ১৮ জন এখনো পলাতক। জামিনে থাকা আসামিরা হলেন- বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম।

বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২৪ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পতœী আইভি রহমান।

তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান। বাসস।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ