বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য খলনায়কদের সন্ধানে কমিশন হবে: আইনমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের সন্ধানে আলাদা কমিশন গঠনের কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই একাজে হাত দেয়ার কথা জানান তিনি।

তবে এ কাজ আদৌ সম্ভব কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। সন্দেহে আছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারপ্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়গুলোর  প্রধান সমন্বয়ক ওয়ালিউর রহমানও।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে দেশি-বিদেশি কুশীলবদের খুজে বের করতে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে অনেক তথ্য এখনও অজানা।  সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই আশ্বাস দেয়া হচ্ছে, আলাদা একটি কমিশন গঠন করা হবে। কিন্তু তা আলোর মুখ দেখছে না।

জাতির পিতার হত্যার নেপথ্য খলনায়কদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেবার দাবি পুরনো হলেও তা জোরালো হয়, ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকরের পর। আদৌ তাদের খুঁজে বের সম্ভব কিনা তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। অথচ ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার একটানা ক্ষমতায়।সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন,'হত্যাকন্ডের নেপথ্যে যারা ছিলো তাদেরকে চিহ্নিত করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা সেই সুযোগ কি ছেড়ে দিবো? না আমরা সেই সুযোগ ছেড়ে দিবো না।'

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়গুলোর কাজের  প্রধান সমন্বয়ক সন্দেহ করলেও তার মতে, কমিশন গঠন করতে পারলে সেটা হবে অন্যতম মাইলফলক।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকাজের প্রধান সমন্বয়ক ওয়ালিউর রহমান জানান, 'যারা জীবিত ছিল তাদের বিচার এখনও হয়নি। আর হবে বলে মনে হয় না। তবে এখন যেটা করা যেতে পারে, তদন্ত কমিশন গঠন করে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে।'

তবে করোনা পরিস্থিতির ওপর কমিশন গঠনের কাজ নির্ভর করছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন,'কুশীলবদের বের করার জন্য যদি কমিশন গঠন হয়, যদিও আমি মনে করি কমিশন গঠন হওয়া প্রয়োজন, তবে সেটা সহজ হবে না। তবে আমাদের ভেতরেই অনেকে আছেন যারা এটা চাইবেন না। একটা কমিশন করে আমরা কুশীলবদের বের করবো। আমরা কিছু করতে পারবো না তাদের শুধু তাদের চিহ্নিত করবো।'

এবিএন/মমিন/জসিম