আজকের শিরোনাম :

সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৬:২২

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামকে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। শুরুতে র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমদকে এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছিল। মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা খাইরুল ইসলামকে এ দায়িত্ব দেয়া হলো।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সময় নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম মেধা সম্পন্ন, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা। অতীতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সুনাম ও সফলতার সঙ্গে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

এদিকে সিনহা হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে রিমান্ড সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পুলিশের ৪ সদস্যসহ সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকালে কক্সবাজার কারাগার থেকে হেফাজতে নিয়ে গেছে র‌্যাব। তবে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগারে গিয়েছিলেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের একদল সদস্য। তারা দীর্ঘক্ষণ জেল সুপারের অফিসে বসেছিলেন। পরে আসামিদের না নিয়ে ফিরে যান। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৪ আসামি কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল।

গত ৮ ও ৯ আগস্ট কক্সবাজার কারা ফটকে তাদের চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় র‌্যাব। ফলে তাদের আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ১০ আগস্ট আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আহমদ। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে গত ৬ আগস্ট সাত দিনের রিমান্ড আদেশ দেন আদালত।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে এবং রামু থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেব নাথকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এদিকে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই লিয়াকতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সব মামলারই তদন্তভার এখন র‌্যাবের হাতে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ