আজকের শিরোনাম :

সিনহা হত্যা: ৭ আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৬:০৬ | আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৬:২০

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত চার পুলিশ সদস্যসহ সাত আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাব।

শুক্রবার সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে তদন্ত সংস্থাটি। এই সাতজনের রিমান্ড শেষে অন্য তিন আসামি- সাময়িক বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এদিকে, ঘটনাস্থল বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া ও শামলাপুর চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন র‌্যাব-এর তদন্ত কর্মকর্তা।

কক্সবাজারের টেকনাফে একত্রিশে আগস্ট তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা। এই ঘটনায় সেনা কর্মকর্তার বোনের করা হত্যা মামলাসহ চারটি মামলারই তদন্ত করছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাব।

সিনহা হত্যা মামলার আসামি চার পুলিশ সদস্য- সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও লিটন মিয়া এবং পুলিশের সহযোগী তিন গ্রামবাসীকে বুধবার সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেয় আদালত। শুক্রবার কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রিমান্ড শুরু করেছে তদন্ত সংস্থা।
 
লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন,আমরা তাদের সাথে বিস্তারিত কথা বলবো। তাদের কাছ থেকে এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে যে যে তথ্য প্রয়োজন তা আমরা বের করার চেস্টা করবো। পর্যায়ক্রমভাবে সব আসামিকেই আমরা রিমান্ডে নিব।

এই সাত আসামির রিমান্ড শেষে হলে সিনহা হত্যা মামলার অন্য তিন আসামি টেকনাফ থানার সাময়িক বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।  

সিনহা হত্যা মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করেছে র‌্যাব। এখন দায়িত্ব পেয়েছেন র‌্যাব-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম।

 লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, তিনি অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে তার কাজ শুরু করেছেন।
 
এদিকে, সিনহা হত্যার সত্য কারণ উদঘাটনে রবিবার টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে গণশুনানির ডাক দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ