আজকের শিরোনাম :

সিনহা হত্যা: ৭ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২০, ২১:৪৯

অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপসহ তিন আসামিকে সাতদিন করে রিমান্ডের আদেশ পরিবর্তন করে সাত আসামিকে সাতদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক মেজর সিনহা হত্যা মামলার সাবেক ওসি প্রদীপসহ ৩ আসামিকে ৭ দিন করে রিমান্ডের আদেশ পরিবর্তন করে সাত আসামিকে সাতদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আত্মসমর্পন করেনি এমন ২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার আদালতে সিনহা হত্যা মামলায় র‌্যাবের করা রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল র‌্যাব। আদালত তিনজনের ৭ দিন করে মঞ্জুর করেছেন। তবে, র‌্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদেশ পরিবর্তন করে আত্মসমর্পণ করা আসামিদের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে। এর আগে, র‌্যাব ৭ আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে।

এদিকে, রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত হয়ে সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত করবে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার বিকেলে, আত্মসমর্পণ করা আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বিকেলে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামিরা। এ সময় জামিন আবেদন করা হলে, বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় ৯ আসামির মধ্যে দুইজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি।

এদিকে, গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ হেফাজতে কক্সবাজারে নেয়া হয় টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপকে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেল পাঁচটার দিকে কক্সবাজার পৌঁছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপ কুমার দাশ।

বুধবার (৫ আগস্ট) সকালে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ ও বাহারছড়া চেকপোস্টের আইসি লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন নিহতের বোন।

এই মামলায় বাহারছড়া চেকপোস্টের ইনচার্জ এস আই লিয়াকত হোসনকে ১ নম্বর ও প্রত্যাহারকৃত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করে আরো ৭ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন: উপপরিদর্শক (এস আই) নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এ এস আই লিটন মিয়া, এস আই টুটুল, কনস্টেবল মো. মোস্তফা।

আদালতের নির্দেশে গতরাতে টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করা হয় মামলাটি। এর পরপরই এজাহারভুক্ত ৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র‌্যাবকে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিলো তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানায় তার পরিবার। পরে পুলিশ দাবি করে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি করা হয় রাশেদকে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ