আজকের শিরোনাম :

সাহেদের নথি চেয়ে ৪ ব্যাংকে দুদকের চিঠি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২০, ১৯:৩৫

রিজেন্ট গ্রুপভুক্ত আট প্রতিষ্ঠান ও সাহেদের নিজের নামের ব্যাংক হিসাবের নথি তলব করে চার ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।

ডাচবাংলা ব্যাংকসহ চার বেসরকারি ব্যাংকে রিজেন্ট গ্রুপের আট প্রতিষ্ঠান ও সাহেদের ব্যাংক হিসাবের নথি তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থার উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের সই করা এসব চিঠি পাঠানো হয়।

ডাচ বাংলা ব্যাংক ছাড়াও ব্যাংক এশিয়া, পদ্মা ব্যাংক এবং এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে দেয়া চিঠিতে ২০শে জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নথি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। চিঠিতে, ওইসব ব্যাংক থেকে সাহেদ ও তার প্রতিষ্ঠানের হিসাব খোলার আবেদনপত্র, হিসাব বিবরণী, ঋণ গ্রহণের আবেদনসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত কপি চাওয়া হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানে সাহেদের নথিপত্র তলব করা হয়েছে। 

এদিকে, প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ও এমডি মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে সাহেদের সহযোগী তারেক শিবলীর দ্বিতীয় দফায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ও এমডি মাসুদ পারভেজকে নেয়া হয় ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে।

মহানগর হাকিম জসিম উদ্দিনের আদালতে সাহেদ ও মাসুদের সঙ্গে অন্যতম সহযোগী তারেক শিবলীকে তোলা হয়। দুই পক্ষের শুনানি শেষে সাহেদ ও মাসুদের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আর তারেক শিবলীর দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী আবদুল্লাহ আবু বলেন, 'আমরা আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে। আর এ ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত আছে তার রহস্য উদঘাটন করতেও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।' আসামিদের প্রতারক চক্র এবং দেশের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে শাস্তির আওতায় আনার কথাও জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী।

শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোহাম্মদ সাহেদ।

এর আগে, বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে বোরকা পরিহিত অবস্থায় ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় এনে তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয় উত্তরায় তার গোপন কার্যালয়ে। এ সময় বেশকিছু জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত ৬ জুলাই, নানা অভিযোগের ভিত্তিতে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর অভিযোগের সত্যতা মেলায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগের পাল্লা ভারি হতে থাকে। এ পর্যন্ত সাহেদের বিরুদ্ধে ৬১টি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ