আজকের শিরোনাম :

মাস্ক-পিপিই দুর্নীতি : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ ৩ সংস্থাকে দুদকের চিঠি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২০, ১৯:১১

মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ তিন সংস্থার কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই চিঠিতে চিকিৎসকদের বদলির তথ্যও জানতে চেয়েছে তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। 

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে গত সপ্তাহে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়। রবিবার টিমের প্রধান মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষরে তথ্য ও রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো তিন দপ্তরে।

তিনি জানান, ৩০ জুনের মধ্যে তথ্য ও রেকর্ডপত্র সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

প্রনব কুমার আরো জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে-  কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সরঞ্জামা/যন্ত্রপাতি (মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজার, আইসিইউ যন্ত্রপাতি, ভেন্টিলেটর, পিসিআর মেশিন, কোভিড টেস্ট কিট ও অন্যান্য) ক্রয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত গৃহীত প্রকল্পসমূহের নাম, বরাদ্দ ও ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়/স্বাস্থ্য অধিদপ্তর/সিএমএসডি) তথ্য চাওয়া হয়।

তিনি বলেন, এ ছাড়া মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড ঢাকাসহ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকলে তার রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি চাওয়া হয়েছে। 

পাশাপাশি গত ২৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে যেসব চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে তাদের নাম, পদবী, বর্তমান কর্মস্থল, পূর্ববর্তী কর্মস্থল, মোবাইল ফোন নম্বরসহ বিস্তারত তথ্য জানতে চাওয়া হয় চিঠিতে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয়  ঔষধাগারের পরিচালকের কাছেও বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক রেকর্ড তলব করেছে কমিশন। 

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি দমনে দুদক কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। মাস্ক-পিপিইসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ তিনটি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ বাহক মারফত তথ্য-উপাত্ত চেয়ে ‘অতীব জরুরি পত্র’ দেওয়া হয়েছে। দুদক আইন, ২০০৪ ও দুদক বিধিমালা-২০০৭ অনুসারে এসব চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি সবাই নির্রারিত সময়ের মধ্যে এসব তথ্য ও রেকর্ডপত্র দিয়ে দুদককে সহায়তা করবেন। দুদক একটি পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের মাধ্যমে অপরাধ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে চায়।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অপরাধী যে-ই হোন না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমি আগেও বলেছি আজও বলছি এসব ক্ষেত্রে অপরাধীদের সামাজিক, পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয় কমিশন   ন্যূনতম গুরুত্ব দেবে না। অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করা হবেই।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ