আজকের শিরোনাম :

সিকদার গ্রুপের এমডি'র গাড়ি জব্দ, মামলা ডিবিতে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২০, ২০:৫০

এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নির্যাতন ও ঋণ দিতে চাপ দেয়ার ঘটনায় হওয়া মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্থানান্তর করেছে গুলশান থানা পুলিশ।

এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরুর পর মামলার আলামত হিসেবে সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদারের ‘রেঞ্জ রোভার’ ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়িটি জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার তার গুলশানের বাসা থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়।

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সিকদার গ্রুপের এমডির গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৮-৩৯৪৫) মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তারা দুই ভাই ব্যাংকক পালিয়ে গেছে। তারা পালিয়ে গেলেও তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

গত ৭ মে ঋণের জন্য বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখাতে রাজি না হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এমন অভিযোগে সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৭ মে ঋণের জন্য বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখাতে রাজি না হওয়ায় ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এছাড়া অভিযুক্ত দুই ভাই বিদেশি নিরাপত্তাকর্মী দিয়ে এক্সিম ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলশানের একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।

এরপরই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ২৫ মে সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দুই ভাই থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হন। গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ