কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহে বন্দুকযুদ্ধে ২ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত

ঢাকা, ১৬ জুলাই, এবিনিউজ : কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাতে এবং আজ সোমবার ভোরে বন্দুকযুদ্ধের এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার মনোয়ার বক্সের ছেলে শহর আলী (৩৮) ও ময়মনসিংহ নগরীর সেনবাড়ী এলাকার মঞ্জুরুল হক খানের ছেলে আহসান উল্লাহ খান নোমান (৪০)।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শহর আলী নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার ভোরে শহরতলির শেখ রাসেল সেতুর নিচে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। 

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে একদল মাদক ব্যবসায়ী শহরের হরিপুর-কুষ্টিয়া সংযুক্ত রাসেল সেতুর নিচে অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ জানতে পারে নিহত ব্যক্তি জেলার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শহর আলী। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ১২টি মাদকের মামলা রয়েছে। 

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড গুলি ও ছয় পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।

বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই আতিকুর রহমানসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

নিহত শহর আলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে সদর উপজেলার ৭নং চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, নিহত নোমান শহরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ ১৪টিরও বেশি মামলা রয়েছে। 

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ খান নোমান সদর উপজেলার চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর এলাকায় অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই স্থানে পুলিশের একটি দল পৌঁছালে নোমানের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে উভয়ের পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পরে নোমান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই ) তানজিল, কনস্টেবল ইলিয়াস ও সামিউল আহত হয়েছেন। তাদের জেলা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম