আজকের শিরোনাম :

রামপুরায় কুকুর হত্যার দায়ে একজনের জেল!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ মে ২০১৮, ০৯:২৬

ঢাকা, ১১ মে, এবিনিউজ : বাংলাদেশে দুটি কুকুর এবং ১৪টি কুকুরছানাকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে হত্যার দায়ে বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে একটি আদালত।

বাংলাদেশে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠূর আচরণের জন্য কারো বিচার বা শাস্তির এটা তৃতীয় ঘটনা।

গত বছর ২৫শে অক্টোবর রাতে রাজধানী ঢাকার রামপুরার বাগিচারটেক এলাকায় মোহাম্মদ সিদ্দিক নামে একজন নাইট গার্ড এবং অপর এক ব্যক্তি মিলে কুকুরগুলিকে মাটিতে পুঁতে হত্যার ওই ঘটনা ঘটায় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়। পরে পিপল ফর এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার বা প' নামে একটি প্রাণী কল্যাণ সংগঠন এ নিয়ে মামলা দায়ের করে।

এঘটনার তদন্তের সময় পুলিশ বাগিচারটেকের একটি খালি প্লটের মাটি খুঁড়ে দুটি মাদী কুকুর ও ১৪টি বাচ্চার মৃতদেহ উদ্ধার করে।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত মোহাম্মদ সিদ্দিককে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং ২০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৭ দিনের কারাদন্ডের আদেশ দেন। এসময় আসামী নিজে উপস্থিত না থাকলেও তার পক্ষে একজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

প'-এর চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা মনে করছেন এ রায়ের ফলে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধের ক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতা তৈরি হবে, তাদের প্রতি সদয় আচরণ করতে মানুষ উৎসাহিত হবে।

তিনি বলেন, প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার ঘটনা বাংলাদেশে নিয়মিত ঘটে এবং মানুষ এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তার কথায়, বিভিন্ন সামাজিক -সাংস্কৃতিক কারণে এবং 'কুকুরে কামড়ালেই জলাতংক হবে' এমন ধারণা থেকে কুকুরের প্রতি লোকে সহিংস আচরণ করে।

রাকিবুল হক এমিল বলেন, বিভিন্ন দেশে গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের বহু সহিংস আচরণের সূচনা প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা থেকেই হয়।

মি. হক বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে এবং শিশুদের স্তর থেকে শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধের জন্য ১৯২০ সালের একটি আইন রয়েছে, তবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মন্ত্রীসভা প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৫ নামে একটি নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে।

মি. হক বলেন, এর আগে ২০১৪ সালে এবং ২০১৫ সালে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠূরতার দুটি পৃথক ঘটনায় কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়। তবে এরকম অপরাধে কারাদন্ডের ঘটনা এই প্রথম।  সূত্র: বিবিসি বাংলা

এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ