আজকের শিরোনাম :

স্বামীর সঙ্গে কলহে ২ সন্তানকে খুন!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২০, ১৫:২৪

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি বাড়িতে দুই শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছেন আখতারুন্নেসা পপি (২৮) নামের এক গৃহবধূ। সন্তানদের হত্যার পর নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।

দক্ষিণ গোড়ান এলাকার বাসা থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পপিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার দেহের ১৮ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার (৭ মার্চ) সকালে ওই নারীর দুই সন্তান আলফি (১১) ও জান্নাতুলের (৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে ওই ঘরে আগুন ধরার কিংবা চুরি-ডাকাতির কোনো চিহ্ন পায়নি পুলিশ।

ওই বাসায় দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকতেন পপি; শিশুদের বাবা মোজাম্মেল হক মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে থাকেন, সেখানে তার বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে।

শিশু সন্তানদের গলা কেটে হত্যার পর পপির আত্মহত্যা চেষ্টার কারণ এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

তবে পপির বাবা আবু তালেব ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, তার মেয়ে ও জামাতার মধ্যে কলহ ছিল। তার মেয়ে বিয়ের পর নয় বছর তার সঙ্গে থাকলেও কিছু দিন আগে আলাদা বাসা নিয়েছিলেন। জামাতা মোজাম্মেল প্রতি সপ্তাহে ঢাকা আসতেন, তবে গেল সপ্তাহে আসেননি। স্বামীর সঙ্গে কলহ থেকে পপি গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন বলে ধারণা করছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে পপির স্বামী মোজাম্মেল হক জানান, প্রতি শুক্রবার তিনি ঢাকার বাসায় আসেন। কিন্তু বাড়িতে একটি জমি নিয়ে ঝামেলা থাকায় এ সপ্তাহে তিনি আসতে পারেননি। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পপির সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, রবিবার তিনি ঢাকায় আসবেন। 

এই ধরনের ঘটনা তার স্ত্রী ঘটাতে পারে, তেমন কিছু আঁচ করতে পারেননি বলে জানান মোজাম্মেল হক।

এ ব্যাপারে খিলগাঁও থানার ওসি জানান, শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে পপি তার দুই শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় পপিকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, পপির পা ও হাত মিলিয়ে দেহের ১৮ শতাংশের মতো পুড়েছে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ