আজকের শিরোনাম :

উদ্ধার ২৭ কোটি টাকা থানায় হস্তান্তর, এনু-রূপনের বিরুদ্ধে মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:১৬

রাজধানীর পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকায় এনামুল হক এনু ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়ার লাল মোহন সাহা স্ট্রিটের ১১৯/১ নম্বর বাড়ি থেকে নগদ প্রায় ২৭ কোটি টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার  (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওয়ারী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এনু-রূপনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। এরপর র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম জব্দ করা টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য মালামাল ওয়ারী থানা পুলিশকে বুঝিয়ে দেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ওই বাসায় অভিযান শুরু করে র‍্যাব। ‘মমতাজ ভিলা’ নামের ওই বাসা থেকে র‌্যাব ৫টি সিন্দুকে থাকা নগদ ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা, সোয়া ৫ কোটি টাকার এফডিআরের বই, ১ কেজি সোনা, ৯ হাজার ২০০ ইউএস ডলার, ১৭৪ মালয়েশিয়ান রিংগিত, ৩৫০ ভারতীয় রুপি, ১ হাজার ৫৯৫ চায়নিজ ইউয়ান, ১১ হাজার ৫৬০ থাই বাথ ও ১০০ দিরহাম জব্দ করে। এছাড়াও সেখান থেকে বেশ কিছু ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার জানান, টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ওয়ারী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এনু-রুপনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া টাকা উদ্ধারের বিষয়টি উল্লেখ করে তা মানি লন্ডারিং মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিআইডি প্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত বছর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই দুই ভাই আলোচনায় আসেন। শুরু থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।

ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার মালিকানাধীন বাড়ি থেকে পাঁচ কোটি টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করে র‍্যাব-৩। এরপর তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়। সেই মামলা তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তারা এখন কারাগারে আছেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ