আর্থিক খাতের অনিয়ম : দুজনকে সুপ্রিম কোর্টে তলব
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:০২
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের স্বাধীন চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে তলব করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের নিচে নয়, এমন একজন কর্মকর্তাকেও তলব করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানির পর আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের আর্থিক অবস্থার বিষয়ে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেন বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ হাশেমসহ কোম্পানির পরিচালকদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।
পি কে হালদার ছাড়াও যাদের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন—কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, এমএ হাশেম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, আবুল হাশেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাব অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ওইসব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন ও নতুন আরও কিছু কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করার অভিযোগ ওঠে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ারা শাহজাহান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আক্তারুজ্জামান। আইনজীবীরা জানান, প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক পিকে হালদারসহ ২০ জনের সব সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ২০ জনের সম্পদের হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পিকে হালদারকে দেয়া ঋণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
পি কে হালদার ছাড়াও যাদের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন—কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, এমএ হাশেম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, আবুল হাশেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাব অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ, পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ওইসব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন ও নতুন আরও কিছু কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করার অভিযোগ ওঠে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ারা শাহজাহান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আক্তারুজ্জামান। আইনজীবীরা জানান, প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক পিকে হালদারসহ ২০ জনের সব সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ২০ জনের সম্পদের হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পিকে হালদারকে দেয়া ঋণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ