আজকের শিরোনাম :

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ফারুকসহ তিনজন কারাগারে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০১৮, ১৯:৪৪

ঢাকা, ০৩ জুলাই, এবিনিউজ : কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘সাধারণ ছাত্র পরিষদ’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি দুই আসামি হলেন—তরিকুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সুব্রত ঘোষ শুভ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আন্দোলন চলাকালে গত ৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা দুই মামলায় গতকাল সোমবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাহাউদ্দীন ফারুকী (পরিদর্শক, ডিবি পুলিশ) তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে রাখার আবেদন করে আদালতে হাজির করেন।

গতকাল শহীদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ফারুক হাসানসহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর ছাত্রলীগ নেতাদের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি ফারুককে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফারুক হাসান শাহবাগ থানায় আছে। তাকে গ্রেফতার দেখানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, আমরা তিনজন যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজ, ফারুক হাসান ও জসিম উদ্দিনের কোনও সন্ধান পাচ্ছি না।

তিনি দাবি করেন, ফারুক হাসানকে মারধরের পর শহীদ মিনার থেকে ও জসিম উদ্দিনকে পাবলিক লাইব্রেরির ভেতর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাহফুজ নামের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ককে রাশেদ নামে এক কর্মীর বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পুলিশ কাউকে আটকের কথাই স্বীকার করছে না।

আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী ভিসির বাসভবনে প্রবেশ করে। তারা মূল গেট ভেঙে ও দেয়াল টপকে বাসায় ঢোকে। তাদের হাতে রড, হকিস্টিক, লাঠি ও বাঁশ ছিল। এছাড়া বাসভবনের আশপাশেও একাধিক মোটরসাইকেলে তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় (উপ-পরিদর্শক) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ